ক্যানসারসহ নানা রোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনেও সেখানেই কাটাতে হয়েছে তাকে। এমন বাস্তবতায় তাকে দেখতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
পেলের ছেলে ও সিরি বির দল লন্ডরিনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৫২ বছর বয়সী এডিনহো নিজের কাজ সেরে শনিবার হাসপাতালে উপস্থিত হন। আর কিংবদন্তির দুই মেয়ে কেলি ক্রিস্টিনা নাসিমন্তো ও ফ্লাভিয়া আরান্তেস বড়দিনের আগেই চলে আসেন হাসপাতালে।
বড়দিনের আগে পেলের মেয়ে ফ্লাভিয়া আরান্তেস বাবার সঙ্গে একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘বাবা...আমার শক্তি মানে তোমারই শক্তি।’
পেলের মেয়ে আগেই জানিয়েছিলেন, বাবার অসুস্থতার কারণে এ বছর তারা বড়দিন পালন করবেন হাসপাতালে।
ছেলে এডিনহো স্থানীয় দৈনিক এস্তাদাওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি এখানে সবসময় থাকতে চাই, কিন্তু আমি আমার কাজের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পেলের মেয়ে কেলি একই দিনে বাবাকে আলিঙ্গন করার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, ‘আরও এক রাতে একসঙ্গে।’
পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকিও শনিবার রাতে যোগ দেন বাকিদের সঙ্গে। সেখানে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কেলি আরও একটি ছবি পোস্ট করেন, যাতে পেলেকে দেখা যায়নি।
ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমরা প্রায় সবাই একসঙ্গে। শুভ বড়দিন। কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা, একতা ও পরিবার বড়দিনের সারমর্ম। আমাদের পাঠানো সমস্ত ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পেলের কোলন ক্যানসারের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার কিডনি ও হৃদযন্ত্রের চিকিৎসায় আরও সময় ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার।
অনেকেই মনে করেন সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় পেলে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু সমর্থকদের বার্তাও তিনি পেয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে।
এ তারকা তার অনুসারীদের ‘রাজার জন্য প্রার্থনা’র আহ্বান জানান।
ক্যারিয়ারে চারটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে তিনটিতে জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন পেলে।
১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের এ খেলোয়াড় ওই তিন আসরের ১৪ ম্যাচে ১২টি গোল করেন।
পেশাদার ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৩৬৩ ম্যাচে ১ হাজার ২৮১ গোল করেন পেলে।