টেস্ট ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়াবার জন্য ২০২৩ সালকে টার্গেট করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে তিনটি সিরিজ জেতার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
চলতি বছরের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও সেই ধারা বছরের বাকিটা সময় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের। ২০২২ সালটা বাংলাদেশের সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তেমনটাই হতাশায় কেটেছে যেমনটা কাটে অন্য বছরগুলোতে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে মোট ১০টি। এর ভেতর জয় কেবল একটিতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বছরের প্রথম টেস্টে জয়ই সম্বল তাদের।
হারের বৃত্তে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ যে গতিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক সেই জয় বাগিয়ে নিয়েছিল, তার চেয়েও বেশি গতিতে ফিরে গেছে আগের সেই চিরচেনা রূপে। বাকি ৯ টেস্টে ৮ হারের বিপরীতে বাংলাদেশের একমাত্র অর্জন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে এক ম্যাচে ড্র।
বছরের শেষটাও হয়েছে হারের বৃত্তে আটকে থেকে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাজে হারের পর ঢাকা টেস্টে এসে জয়ের হাতছানি দেখছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু হাতের মুঠোয় থাকা সেই ম্যাচটিতেও পরাজয় মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে টিম বাংলাদেশকে।
আর এতে করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জয়টিকেই একমাত্র সঙ্গী করে বছর শেষ করতে হলো সাকিব বাহিনীকে।
চলতি বছরে ১০ টেস্টে কেবল ১ জয় পেলেও সাকিবের চোখ ২০২৩ সালে। আগামী বছর আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড এই তিন দলের বিপক্ষে ৫টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সবগুলো সিরিজই হবে ঘরের মাঠে। আর এই তিন সিরিজের প্রতিটিতেই জয় বাগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর সাকিব।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালে আমাদের তিনটা বা পাঁচটা টেস্ট ম্যাচ আছে এফটিপিতে, যেটা আমি জানি। আমি মনে করি তিনটি সিরিজই আমাদের জেতা উচিত, যে ধরনের দলের সঙ্গে আমরা খেলব। অবশ্যই জেতা উচিত।’
এ বছর সাফল্যের হার ০.০১ শতাংশ হলেও সাকিবের মতে দল বেশ ভালো খেলেছে ও উন্নতি করেছে। নিজেদের ঘাটতির জায়গাগুলো ইতোমধ্যেই চিহ্নিত হওয়ায় সেখানে পর্যাপ্ত কাজ করে ২০২৩ সালে ভালো কিছু করে দেখাতে আত্মপ্রত্যয়ী দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘ওভারঅল যদি সামারি টানি ২০২২ সালের, আমরা ভালো খেলেছি। খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যে জায়গাগুলোয় আমাদের ঘাটতি ছিল, সেখানে অনেক বেশি উন্নতি করেছি আমার কাছে মনে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন যে ধরনের চিন্তাধারা, ড্রেসিংরুমে যে ধরনের কথা হয়, যে ধরনের লিডারশিপ এখন তৈরি হচ্ছে, ২০২৩ সালে আমরা ভালো কিছু অবশ্যই দেখব বলে মনে করি।’
২০২৩ সালের মার্চ-এপ্রিলে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে আয়ারল্যান্ড। এরপর জুন-জুলাইতে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে সাকিব এন্ড কোং।
আর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ভেতর ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ।