বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরোয়া ক্রিকেটে সমাধান খুঁজছেন সাকিব

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:০৪

দুই যুগ টেস্ট ক্রিকেট খেললেও এখনও টেস্টের আবহটাই ধরতে সক্ষম হয় নি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আর সেটি খালি চোখেই স্পষ্ট দৃশ্যমান।

টেস্ট ক্রিকেটের ধারাবাহিক ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পথ খুঁজছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত অংশ নেয়ার মাধ্যমে ক্রিকেটাররা নিজের সক্ষমতা বাড়াতে পারেন বলে তিনি মনে করছেন। মূলত ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই যোগ্য টেস্ট প্লেয়ার বেরিয়ে আসবে বলে তার বিশ্বাস।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের খারাপ সময়টা কাটছেই না। পরাজয় রীতিমতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।

টেস্ট ক্রিকেটের ২২ বছরের যাত্রায় বাংলাদেশ খেলেছে ১৩৬টি ম্যাচ। সেখানে বাংলাদেশের অর্জনের ঝুলিতে কেবল ১৬ জয় আর ১৮ ড্র। বাকি ১০২ ম্যাচে টাইগারদের মাঠ ছাড়তে হয়েছে হারকে সঙ্গী করে।

দুই যুগ টেস্ট ক্রিকেট খেললেও জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা রপ্ত করতে পারেননি দীর্ঘ লড়াইয়ের কৌশল। আর সেটি খালি চোখেই দৃশ্যমান। সাদা পোশাকে একেবারেই সাদামাটা তাদের ব্যাটিং-বোলিং। প্রতিপক্ষকে সাময়িক চাপে রাখলেও টেস্ট জয়ের মতো সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ টাইগাররা।

কয়েক দফায় কোচ ও খেলোয়াড় পরিবর্তন করে সফলতা পায়নি ক্রিকেট বোর্ড। মূল সমস্যাটা ধরতে হিমশিম তারা।

ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, সমস্যাটা আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। সঠিক উপায়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা হয় না। লম্বা সময় ধরে টেস্ট খেললেও জেনুইন টেস্ট ক্রিকেটার বের করে আনা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে।

কিছুদিন আগেই নিউজবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রাকিবুল হাসান বলেছিলেন, ‘আসলে মূল সমস্যাটা আমাদের ঘরে। জাতীয় দলের কয়টা খেলোয়াড় নিয়মিত ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলে? যেই সিস্টেমে খেলা হয় সেটাও তো মানসম্মত না অন্য দেশের তুলনায়।

‘একটা ক্রিকেটার যত গুরুত্ব দিয়ে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলবে, সে তত ভালো করবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে দাড় করাবে। কয়জন বের হয়েছে এমন দেখান দেখি।’

ভারতের বিপক্ষে ক্লিন সুইপ হওয়ার পর একই সুরে গলা মেলালেন টেস্ট দলপতি সাকিব আল হাসান। ভালো টেস্ট ক্রিকেটার বের করতে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের বিকল্প দেখছেন না তিনি।

সাকিব বলেন, ‘যদি আমরা টেস্ট ক্রিকেটে সত্যিই উন্নতি করতে চাই, তাহলে আরও বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলাতে হবে। এটা অনেক পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি নিশ্চিত, ভারতের যে ক্রিকেটাররা আসছে তাদের প্রায় সবার একশর ওপরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা আছে। যেখানে আমিই হয়তো এতদিন ধরে আছি, হয়তো অনেক দিন ঘরোয়া খেলি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে যারা খেলে, একটা মৌসুমে তারা কয়টা ম্যাচ খেলে? ৬টা থেকে ৮টা হয়তো। যদি এরকম খেলে, ১০ বছরে হবে ৮০টা ম্যাচ। আমরা যদি ৮০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কোনোভাবে ৫ বছরে খেলতে পারি, আমার কাছে মনে হয় তাতে অনেক ভালো টেস্ট ক্রিকেটার বের হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর