টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিজের হতশ্রীরূপ থেকে বের হতে পারছেই না। চলতি বছর ১০ টেস্ট খেলে ৮ পরাজয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ১ জয় ও ১ ড্র। প্রাণান্তকর চেষ্টা চালালেও জয় বের করে আনা সম্ভব হচ্ছে না লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
সবশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে জয়ের হাতছানি দেখতে পেয়েও সেটির স্বাদ নেয়া সম্ভব হয়নি স্বাগতিকদের। যার ফলে ৩ উইকেটে হারার পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
দলের এমন হারে ফের সমালোচনার কাঠগড়ায় কোচিং প্যানেল।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর অপসারণের দাবি উঠেছিল। কিন্তু অজানা কারণে প্রোটিয়া এই কোচ রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
বোর্ডকে বেশ ভালোভাবেই সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল ডমিঙ্গো। যে কারণে অপসারণের বিষয়ে না ভেবে উল্টো তার সঙ্গে অবিশ্বাস্য এক শর্তে চুক্তি বাড়ায় বোর্ড। দলকে যে জায়গায় ডমিঙ্গো বুঝে নিয়েছিলেন, প্রায় তিন বছর পর এসে একই জায়গায় এখনও দাঁড়িয়ে দল।
কাড়িকাড়ি টাকা দিয়ে রাখা কোচ যে দলের উন্নতি ঘটাতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, সেটি বোর্ডের বোধগম্য হয়েছে দেরিতে। আর সে কারণেই গেল বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব তার থেকে নিয়ে নেয় বোর্ড।
সে সময় শুধু টেস্ট দলের দায়িত্ব দেয়া হয় ডমিঙ্গোকে। কিন্তু সাদা পোশাকেও নিজের কোচিং ঝলক দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। চলতি বছর তার একমাত্র অর্জন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়।
সবশেষ ভারতের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হারের পর নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। ডমিঙ্গোর বিকল্প যে দরকার সেই ভাবনা দেরিতে হলেও বুঝতে সক্ষম হয়েছে বোর্ড। সে মোতাবেক ইতোমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে বোর্ড।
শীঘ্রই কোচিং প্যানেলে পরিবর্তন আসছে। রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন কোচ দরকার, যে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো। ওয়ানডেতে আমরা ভালোই করছি। সেটার দিকে তা-ও নজর রাখা দরকার, কারণ বিশ্বকাপ খুবই কাছে, ২০২৩ সালে। এটির দিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি আমরা চাই, টেস্ট দলের টিম ম্যানেজমেন্টে যারা থাকবেন, তারা যেন টিমে ইম্প্যাক্ট রাখতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোচের যেন দলের ওপর ইমপ্যাক্ট থাকে, দলের মধ্যে তার ইনফ্লুয়েন্স থাকে, প্রভাব থাকে। আমাদের এই ধরনের কোচ দরকার। আমার মনে হয় শিগগির আপনারা কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন। দেখা যাক, চেষ্টা করছি আমরা।’