কাতারে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ইতি টানতে হয়েছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর। ইউরোপের কোনো ক্লাবে খেলার ইচ্ছা থাকলেও কেউ আগ্রহ দেখায়নি দলছুট সিআরসেভেনকে ভেড়াতে।
এমন বাস্তবতায় সম্প্রতি রোনালডোকে দেখা গেছে সৌদি আরবের রিয়াদের বিমানবন্দরে। চুক্তির বিষয়টি পাকাপাকি করতেই রোনালডো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
ক্রীড়াবিষয়ক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার বরাত দিয়ে গোল ডটকমের বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ম্যানইউ ছাড়ার পর থেকেই পর্তুগাল ফুটবলের পোস্টার বয়কে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছিল সৌদি ক্লাব আল-নাসর। প্রতি মৌসুমে ২০ কোটি ইউরো দেয়ার প্রস্তাব করে সৌদির ক্লাবটি। হয়তো শেষমেশ এ ক্লাবেই দেখা যাবে ৩৭ বছর বয়সী তারকাকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সব মিলিয়ে সাত বছরের চুক্তিতে সৌদির ক্লাবটিতে যোগ দিতে প্রস্তুত পাঁচবারের ব্যালন ডরজয়ী রোনালডো।
এতে আরও বলা হয়, রোনালডো প্রথম আড়াই বছর থাকবেন খেলোয়াড় হিসেবে। পরে মিসর ও গ্রিসের সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পাওয়ার লড়াইয়ে রোনালডোকে কাজে লাগাবে সৌদি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির দূত হিসেবে থাকবেন এ ফরোয়ার্ড।
গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের ৬-১ গোলের ব্যবধানে জয়ের পর রোনালডো আল-নাসরের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেন, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে চুক্তি সই শুধু আনুষ্ঠানিকতা।
আল-নাসরের কোচ রুডি গার্সিয়া চলতি মাসের শুরুতে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, যেকোনো কোচই রোনালডোর মতো দুর্দান্ত তারকাকে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে আনন্দিত হবেন। আমি জানি দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের পরিচালনা করা সবচেয়ে সহজ। কারণ তারা খুবই বুদ্ধিমান।’