কাতার বিশ্বকাপের অনেক কিছুই আগের আয়োজনের তুলনায় ভিন্ন রকম। চ্যাম্পিয়ন মেসিদের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার পর দেশটির আমির মেসিকে পরিয়ে দেন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক পোশাক।
রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে টাইব্রেকে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ১৯৮৬ সালের পর লাতিন শক্তি আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাদের হাতে বিশ্বসেরার ট্রফি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সেটি দেয়ার আগে কাতারের আমির মেসির গায়ে চাপান তাদের পোশাক, যেটি পরিচিত বিশত নামে।
বিশত পরেই মরুর বুকে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরেন মেসি।
কাতারের পোশাক বিশত পরেই বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেন লিওনের মেসি
মেসিকে এই পোশাক পরানো নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তিও। কেউ বলছেন, এটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, যা বিশ্বকাপের ট্রফি বিতরণের সঙ্গে বেমানান, কেউ চেষ্টা করছেন বিষয়টি সম্পর্কে জানার।
আরব বিশ্বের পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এটি। বিশেষ আয়োজন এবং বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এটি পরেন তারা। কারও গায়ে তা চরিয়ে দেয়ার মানে হলো ওই ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া। এটি মূলত ধর্মনিরপেক্ষ একটি পোশাক।
বিশ্বকাপ ফাইনালে আয়োজক দেশের দেয়া স্মারক পরে উদযাপন নতুন কিছু নয়। ১৯৭০ সালের ফাইনালে ফুটবল সম্রাট পেলে ব্রাজিলের জয়ের পর মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী সমব্রেরো টুপি মাথায় উদযাপন করেছিলেন।
১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ের পর সমব্রেরো মাথায় পেলের উদযাপন। ছবি: টুইটার
মেসিকে সেই পোশাক পরিয়ে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের ফুটবলার জামাল ভুইয়া টুইট বার্তায় লেখেন, ‘যখন একটি দেশের আমির আক্ষরিক অর্থে আপনাকে বিশত উপহার দেন এবং নিজের হাতে আপনাকে পরিয়ে দেন; তার মানে হলো এটি সেই ব্যক্তিকে দেয়া সর্বোচ্চ সম্মান, যা কাতারি উপায়ে করা হয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।’