বিশ্বকাপের সেরা দল নির্ধারণে আর বাকি কয়েক ঘণ্টা। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ৩৬ বছর অপেক্ষার অবসান ঘটাতে মুখোমুখি হচ্ছে টানা দ্বিতীয় শিরোপার জন্য মুখিয়ে থাকা কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সের।
দুই দলই এবারের আসরে নিজেদের গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউটে খেলেছে। গ্রুপপর্বে দুই দলই স্বাদ নিয়েছে এক হারের। তবে আর্জেন্টিনার চেয়ে ফ্রান্সের পথটা ছিল কম চ্যালেঞ্জিং।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করে ফ্রান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে নকআউট নিশ্চিত করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে বদলি একাদশ নিয়ে খেলে ১-০ গোলে হেরে যায় দিদিয়ের দেশমের দল।
শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ফ্রান্স। পরের রাউন্ডেও অপ্রতিরোধ্য ছিল ল্য ব্লু। ২-১ গোলে টুর্নামেন্টের আরেক ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারায় এমবাপে-গ্রিজমানরা।
আর সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স।
ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনার যাত্রাটা এতটা মসৃণ ছিল না। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে জন্ম দেয় বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম বড় অঘটনের।
দ্বিতীয় মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে টিকে থাকে মেসির দল। আর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে একই ব্যবধানে পোল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে কোয়ালিফাই করে আর্জেন্টিনা।
শেষ ষোলোর ম্যাচে মেসিরা ২-১ গোলে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচটি ছিল এবারের বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ।
নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে নির্ধারিত হয় ম্যাচভাগ্য। পেনাল্টি শুটআউটে ডাচদের ৪-৩ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছায় আর্জেন্টিনা।
সেমিতে টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা আর নিশ্চিত করে ৮ বছর পর ফাইনাল খেলা।