দেড় দিনে ভারতকে ৪০৪ রানে বেঁধে দিলেও চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের ১০ ওভার ব্যাটিং করে তারা হারিয়েছে দুই উইকেট।
চা-বিরতিতে যাওয়ার আগপর্যন্ত ২ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ৩৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
ভারতের করা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের খাতা খোলে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সিরাজের ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে রিশাভ পান্টের হাতে ধরা দিয়ে শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যর্থ হন ইয়াসির আলি রাব্বিও। ১৭ বলে ৪ রান করে উমেশ ইয়াদভের শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন লিটন কুমার দাস। সঙ্গে নেন অভিষিক্ত জাকির হোসেনকে। দুজনে মিলে চা-বিরতির আগপর্যন্ত আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি। ৩৭ রান তুলে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
এর আগে ২৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে স্কোরবোর্ডে ৬ রান যোগ করতেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় শ্রেয়াস আইয়ারকে। এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৬ রান।
মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আশউইন ও কুলদিপ। দুজনে মিলে জুটি গড়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন। এ দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেশনের বাকি সময়টাতে আর উইকেটের দেখা মেলেনি স্বাগতিকদের।
বিরতি থেকে ফিরেই অর্ধশতক হাঁকিয়ে বসেন আশউইন। ৫৮ রানেই তাকে থামতে হয় মিরাজের শিকার বনে। কুলদিপ কিছুটা সময় লড়াই চালিয়ে গেলেও তাইজুল ইসলামের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।
এরপর আর প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি উমেশ ইয়াদভ ও মোহাম্মদ সিরাজের পক্ষে। আর তাতে করেই ৪০৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
বাংলাদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন তাইজুল ও মিরাজ। এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।