কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে রাতে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। এই ম্যাচে দুই দলের লড়াইয়ের পাশাপাশি লড়াই হবে দুই এল এম টেনেরও; লিওনেল মেসি ও লুকা মডরিচ।
আরও দুজনের লড়াইয়ে চোখ থাকবে কোটি ফুটবল-ভক্তের। লড়াইটা হবে দুই দলের গোলকিপারেরও। আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেস ও ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচের লড়াই হবে নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখার।
মাত্র দেড় বছর আগে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন মার্তিনেস। এ অল্প সময়ে জাতীয় দল তো বটেই লিগ ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই গোলকিপার। নিজের সবশেষ ভেলকি দেখিয়েছেন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।
নেদারল্যান্ডসকে পেনাল্টি শুট আউটে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে লিওনেল মেসির দল। টাইব্রেকে ৪-৩ গোলে হারে নেদারল্যান্ডস।
টাইব্রেকে আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস নেদারল্যান্ডসের ভার্জিল ফন ডাইক ও স্টিভেন বার্গুইসের শট ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।
শুরুতে মার্তিনেসের টানা দুই শট ঠেকানোতেই নির্ভার হয়ে স্পট কিক নিতে সক্ষম হয়েছিলেন তার সতীর্থরা। তাই ম্যাচ জয় শেষে অধিনায়ক মেসি তার দিকে ছুটে গিয়েই উদযাপন করেন।
এর আগে ২০২১ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৩টি শট ঠেকিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা এই গোলরক্ষক।
চলতি বিশ্বকাপে সতীর্থদের সুবাদে গোলপোস্ট সামলাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি মার্তিনেসকে। এখন পর্যন্ত টাইব্রেকার বাদে কেবল দুটো গোল সেভ করেছেন তিনি। আর গোল হজম করেছেন চারটি।
এদিকে লিভাকোভিচ চলতি বিশ্বকাপে টাইব্রেকার বাদে গোলমুখে দাঁড়িয়ে সেভ করেছেন ২১টি। বিপরীতে তিনি গোল হজম করেছে তিনটি।
ব্রাজিলের বিপক্ষে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১টি সেভ করেছেন তিনি। যা এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ। জাপান ও ব্রাজিলের বিপক্ষে টাইব্রেকে মোট ৪টি সেভ করেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার সার্জিও গয়কোচিয়া (১৯৯০) ও স্বদেশি ডানিয়েল সুবাসিচের (২০১৮) পর এক বিশ্বকাপে ৪টি টাইব্রেক শট ঠেকিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সঙ্গী হয়ে গেছেন তিনি।
২০১২ সালে সিনিয়র ফুটবলে অভিষেক হওয়া লিভাকোভিচ এখন খেলেন ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের অন্যতম সেরা ক্লাবে ডিনামো জাগরেবে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা এই কিপার এখনও ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে লিগে খেলার সুযোগ পাননি।
এই দুই শট স্টপারের ওপরই দায়িত্ব থাকবে সেমিফাইনালের মঞ্চে দলকে নিরাপদে রাখার।