এবারের বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছেন রেফারি মাতেও আন্তোনিও লাহোজ। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ১৮টি কার্ড দেখিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি শিরোনামে এনেছেন ফুটবল বিশ্বকাপের রেফারিদের।
ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারিরা সব সময় থাকেন লাইমলাইটের বাইরে। তবে যেকোনো ফুটবল ম্যাচে তারাও করেন ঘাম ঝরানো পরিশ্রম।
পুরো ৯০ মিনিট (এর সঙ্গে যোগ করা অতিরিক্ত সময়) মাঠের খেলায় রেফারিকে রাখতে হয় তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। এ জন্য পুরো মাঠ চষে বেড়াতে হয় তাদের। ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) নিয়মানুযায়ী একজন রেফারিকে মাঠে বল থেকে ৮ থেকে ২০ মিটার দূরত্বের মধ্যে সার্বক্ষণিক থাকতে হয়।
এ জন্য রেফারিদের পুরো ম্যাচে যে পরিমাণ দৌড়াতে হয় সেটা খেলোয়াড়দের কাছাকাছি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দৌড়বিদদের ম্যাগাজিন রানার্স ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল ম্যাচে একজন রেফারিকে ৯.৬৫ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১২ কিলোমিটার (৬ থেকে ৮ মাইল) দৌড়াতে হয়। তার অ্যাসিস্ট্যান্টদের (লাইনসম্যান) দৌড়াতে হয় সাড়ে ৬ কিলোমিটারের কিছু বেশি।
এই দূরত্ব পেশাদার খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি না হলেও তাদের কাছাকাছি। সাধারণত একজন ফুটবল খেলোয়াড় এক ম্যাচে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দৌড়ে থাকেন।
অলিম্পিকসের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে এবারের কাতার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ফুটবলারদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা আট দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৌড়েছেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার মার্সেলো ব্রজোভিচ। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত চারটি ম্যাচে ৫৬.২৬ কিলোমিটার দৌড়েছেন তিনি। প্রতি ম্যাচে তিনি দৌড়েছেন গড়ে ১৪.০৬৫ কিলোমিটার।
আর্জেন্টিনার মিডফিল্ড ইঞ্জিন খ্যাত রদ্রিগো দে পল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত চার ম্যাচে দৌড়েছেন মোট ৪৪.০৮ কিলোমিটার। প্রতি ম্যাচে ১১.০২ কিলোমিটার দৌড়েছেন এ মিডফিল্ডার।
মিডফিল্ডার বা উইঙ্গারদের তুলনায় গোলকিপার কিংবা সেন্টার ব্যাকদের কম দূরত্ব দৌড়াতে হয়। গড়পড়তা হিসেবে একজন রেফারি অনেক ম্যাচে সেন্টার ব্যাকদের চেয়ে বেশি দৌড়ে থাকেন।
এবারের বিশ্বকাপে বিভিন্ন দেশের ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি ও ২৪ জন ভিডিও ম্যাচ অফিশিয়াল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন।