কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর দল পর্তুগালকে। দলের অন্যতম সেরা তারকা খেলেছেন ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ।
পাঁচটি বিশ্বকাপ খেললেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি রোনালডোর। শেষটা তাই রঙিন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তব না হওয়ায় আক্ষেপই রয়ে গেল।
মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নেমে ক্যারিয়ারের ১৯৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েন ৩৭ বছর বয়সী রোনালডো। ম্যাচ শেষে অশ্রুসজল চোখে মাঠ ছাড়েন পাঁচবারের ব্যালন ডরজয়ী ফরোয়ার্ড।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার এক দিন পর রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন রোনালডো।
এতে তিনি লেখেন, ‘পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ও উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন। সৌভাগ্যবশত আমি পর্তুগালসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক শিরোপা জিতেছি, কিন্তু বিশ্বকাপ জিতে পর্তুগালের নাম বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে লেখা ছিল আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। এ স্বপ্নের জন্য লড়াই করেছি, কঠোর সংগ্রাম করেছি।’
২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন রোনালডো। সেই থেকে বিশ্বকাপের চার আসরে গোলের দেখা পেলেও শিরোপা জেতা হয়নি দলের। তাই স্বপ্ন ছিল এবারের বিশ্বকাপে অধরা ট্রফিকে ছুঁয়ে দেখার।
এ নিয়ে রোনালডো লেখেন, ‘ক্যারিয়ারে ১৬ বছরেরও বেশি সময়ে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছি। সবসময় বড় খেলোয়াড়দের পাশে পেয়েছি। লাখ লাখ পর্তুগিজের সমর্থন পেয়েছি।
‘নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। মাঠে সেরাটা দিয়েছি। কখনোই লড়াইয়ের দিকে মুখ ফেরাইনি এবং আমি কখনোই সেই স্বপ্ন ছেড়ে দিইনি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দুঃখজনক হলেও এটাই এখন সত্য। আমার স্বপ্নটি এখন শেষ হয়ে গেছে। এই কষ্ট কাউকে বলে বোঝানোর মতো নয়। আমি সবাইকে জানাতে চাই, আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলা, লেখা ও অনুমান করা হয়েছে। তাতে পর্তুগালের প্রতি আমার উদ্যম এক মুহূর্তের জন্যও কমেনি। সবসময় সকলের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে অবিচল ছিলাম এবং আমার সতীর্থ ও দেশের দিক থেকে কখনোই মুখ ফিরিয়ে নেব না।
‘আর কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ পর্তুগাল। ধন্যবাদ কাতার; যতক্ষণ স্বপ্ন টিকে ছিল তা সুন্দর ছিল।’