মাঠে থাকলেও একাদশে নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালডো। আগের ম্যাচের মতোই মরক্কোর বিপক্ষে পর্তুগালের নিয়মিত অধিনায়ককে দেখা যাবে ডাগ আউটে। দর্শকদের চাপ থাকলেও কোচ ফার্নাদো সান্তোস তাকে রাখেননি প্রথম একাদশে।
মরক্কোর বিপক্ষে পর্তুগালের একাদশে আছেন ডিয়েগো কোস্তা (গোলরক্ষক) ডিয়েগো ড্যালট, পেপে, রুবেন ডায়াস, রাফায়েল রুয়েরিরো, বার্নাদো সিলভা, রুবেন নাভাস, অটাভিও, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, গঞ্জালো রামোস ও জাও ফিলিক্স।
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত গোল করে সে রকম আলোচনায় না থাকলেও পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালডো যে পারফরম্যান্সের দিক থেকে দুর্দান্ত ফর্মে, সে বিষয়ে মতভেদ নেই। কিন্তু তারপরও ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেখা গেছে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেয়ার ঘটনা।
কাতার বিশ্বকাপে রোনালডোর যেন শনির দশা, দলে থেকেও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ১৬-এর ম্যাচে তাকে পাওয়া যায়নি প্রথম একাদশে। সেই ম্যাচের ৭৩ মিনিট পর্যন্ত ডাগ আউটেই বসে থাকতে হয়েছে তারকা এই ফুটবলারকে। ম্যাচের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন রীতিমতো দর্শকের ভূমিকায়।
আর এর ফলেই রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয় কোচ ফার্নাদো সান্তোসকে নিয়ে। রোনালডোর সঙ্গে মতবিরোধের অভিযোগ তুলে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাড় করানো হয় ৬১ বছর বয়সী এই কোচকে।
সুইসদের বিপক্ষে ম্যাচে রোনালডোর পরিবর্তে নামা গঞ্জালো রামোস করেছিলেন হ্যাটট্রিক। আর সে কারণেই মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে আরও একবার ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় শুরুর একাদশে সিআর সেভেনের থাকা নিয়ে।
অবশেষে কাটল সব ধোঁয়াশা। গুঞ্জন সত্য প্রমাণ করে কোচ সান্তোস তার শুরুর একাদশে রাখলেন না রোনালডোকে। তাই আরও একবার সাইড বেঞ্চে থেকেই তাকে দেখতে হবে শুরুর খেলা।
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসা রইলেন রোনালডো। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম বেঞ্চে বসা ছিলেন তিনি। এর আগে সাউথ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল তাকে। এ নিয়ে কোচের সঙ্গে তার বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। যার ফলে অধিনায়ককে বসিয়ে রাখার মাধ্যমে কোচ সান্তোস শোধ তুলছেন বলে মনে করেন রোনালডোর ভক্তরা।
পর্তুগাল একাদশ: ডিয়েগো কোস্তা (গোলরক্ষক), ডিয়েগো ড্যালট, পেপে, রুবেন ডায়াস, রাফায়েল রুয়েরিরো, বার্নাদো সিলভা, রুবেন নাভাস, অটাভিও, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, গঞ্জালো রামোস ও জাও ফিলিক্স।