শারীরিক অবস্থার অবনতিতে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সাবেক এই ফুটবলারের শরীরে কেমোথেরাপি কাজ না করায় ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ রাখার খবর প্রকাশিত হয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে। এই সংবাদের বিপরীত তথ্য দিয়েছেন পেলের কন্যা ফ্লাভিয়া নাসিমেন্তো।
প্যালিয়াটিভ কেয়ার একটি বিশেষ ব্যবস্থা। মুমূর্ষু রোগীদের এই ব্যবস্থায় নেয়া হয়। যখন রোগীর শরীরে কোনো চিকিৎসা কাজ করে না, তখনই তাকে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে রাখা হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শনিবার অনেক সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পেলে।
তবে সংবাদমাধ্যমের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন পেলের কন্যা ফ্লাভিয়া নাসিমেন্তো। গ্লোবো টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘এটা অন্যায় যে লোকজন বলছেন বাবা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এবং প্যালিয়াটিভ কেয়ারে আছেন। বিশ্বাস করুন বিষয়টা তেমন নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে কোলন ক্যানসার থেকে সেরে ওঠার স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নেই। তাই অবস্থা বুঝে চিকিৎসায় সামঞ্জস্য আনতে হয়।’
পেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ব্রাজিলের দৈনিক পত্রিকা ‘ফোলহা ডি সাও পাওলো’ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, অন্ত্রের ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপিতে পেলের শরীর আর সাড়া দিচ্ছে না। সে কারণে তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়েছে।
‘ফোলহা ডি সাও পাওলো’ সেই খবরে সরগরম হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ব। তাদের বরাত দিয়ে বিবিসিসহ বিশ্বের শীর্ষ মিডিয়াগুলোতে একই খবর প্রকাশ করে।
যদিও পরদিন নিজের ইন্সটাগ্রামে পেলে লেখেন, ‘বন্ধুরা, সবাই শান্ত ও ইতিবাচক থাকুন। অনেক আশায় আছি, আমি শক্ত আছি। আগের মতোই চিকিৎসা নিচ্ছি। মেডিক্যাল ও নার্সিং টিম আমাকে যে সেবা দিচ্ছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার ঈশ্বরের প্রতি অনেক বিশ্বাস আছে এবং সারা বিশ্ব থেকে পাওয়া ভালোবাসার প্রতিটি বার্তাই আমাকে শক্তিতে ভরপুর রাখে।’