গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে শুরু রাউন্ড অফ সিক্সটিনের খেলা। আর প্রথম দিনেই বিশ্বকাপের অন্যতম হট ফেভারিট আর্জেন্টিনার ম্যাচ। আস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি লিওনেল মেসিরা।
কাতারের আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১টায় নকআউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। খালিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রাত ৯টায় প্রথম ম্যাচে নেমে ৩-১ গোলে নেদারল্যান্ডস জয় তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে লিওনেল স্কালোনির দল। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারলেও শেষ দুই ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ১৯৭৮ আর ১৯৮৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনার খুব বেশি দেখা না হলেও এখনও পর্যন্ত সাতবার মুখোমুখি হয় দল দুটি। ১৯৮৮ সালে প্রথম সাক্ষাতে হেরেছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। পরের ছয় ম্যাচের পাঁচটি তারা জিতেছে, ড্র হয়েছে একটি। টোকিও অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার যুব দল হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
২০০৭ সালের পর আবার মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। বিশ্বকাপের মূল পর্বে এবারই প্রথম দেখা হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের দুই দিন পরই নকআউটের ম্যাচে নামছে আর্জেন্টিনা, যা দলের জন্য কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জিং। দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আনহেল দি মারিয়া একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছেন চোট সমস্যায়।
এদিকে বিশ্বকাপে পাঁচ আসরে মেসি যত গোল করেছেন তার সব কটিই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। এ ছাড়া পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করায় কিছুটা হলে চাপে থাকতে পারেন সাতবারের ব্যালন ডরজয়ী এ তারকা, তবে সবকিছু একদিকে রেখে মেসি স্বরূপে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মেসিদের কোচ স্কালোনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ তিনি যথেষ্ট সতর্ক।
তার ভাষ্য, ‘আমাদের মতো কঠিন দুটি ম্যাচ জিতেই তারা এখানে এসেছে। অস্ট্রেলিয়াকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার ভুল আমরা করব না। সৌদি আরবের বিপক্ষে আমরা দেখেছি, বিশ্বকাপে ফেভারিট বলে কিছু নেই।’
আর্জেন্টিনার মতো একই অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অল্প সময়ের মধ্যেই নকআউট পর্বে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
আর্জেন্টিনার মতো প্রথম ম্যাচ হেরে পরের দুই ম্যাচ জিতে নকআউট পর্বের টিকিট কেটেছে আস্ট্রেলিয়া। তাই আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকবে না গ্রাহাম আর্নল্ডের দলের।