নকআউট পর্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাতারের নাইন সেভেন্টি ফোর স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় পোল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা। শেষ ষোলোতে যেতে হলে জয়ের বিকল্প নেই দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। অন্যদিকে পরের রাউন্ডে খেলতে জয় চাইবেন পোল্যান্ডের তারকা রবার্ট লেওয়ানডোভস্কিও।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছিল কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে সৌদি আরবের বিপক্ষে একটি পরাজয় ও মেক্সিকোর বিপক্ষে একটি জয় নিয়ে গ্রুপ ‘সি’র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দলটি।
এবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে দোহার নাইন সেভেন্টিফোর স্টেডিয়ামে। এ স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে।
২০১০ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে ‘ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২’ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে তৈরি করা হয় আটটি স্টেডিয়াম। এর মধ্যে বেশির ভাগ স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা কমিয়ে ফেলা হলেও নাইন সেভেন্টিফোর স্টেডিয়ামটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হবে বিশ্বকাপ শেষে।
বিশ্বকাপের পর স্মৃতি হয়ে থাকবে এই স্টেডিয়ামের খেলাগুলো। গ্রুপ পর্বের বেশ কিছু ম্যাচসহ মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতে।
এরই মধ্যে এই স্টেডিয়ামে মেক্সিকো-পোল্যান্ড, পর্তুগাল-ঘানা, ফ্রান্স-ডেনমার্ক ও ব্রাজিল- সুইজারল্যান্ডের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। বুধবার নাইন সেভেন্টিফোরে মাঠে নামবে লিওনেল মেসির দল।
সাত ম্যাচের মধ্যে এরই মধ্যে এ মাঠে চার ম্যাচ সম্পন্ন হয়ে গেছে। আগামী ২ ডিসেম্বর সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ডের ম্যাচসহ কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতেই। ৪০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে কাতারের দোহায়।
৯৭৪ নম্বরটি মূলত কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়াল কোড। একই সঙ্গে স্টেডিয়াম নির্মাণে যে কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছে তার সংখ্যাও এটি প্রতিনিধিত্ব হয়েছে।
শিপিং কনটেইনার দিয়ে বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরি হলেও এর কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে স্টিলের ওপর। বসানো হয়েছে রিমুভেবল সিট। ম্যাচ শেষে যা খুলে ফেলা যাবে অবলীলায়। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই স্থাপনা এক নতুন মাইলফলকের সৃষ্টি করেছে মধ্যপ্রাচ্য।
ভেঙে ফেলা হবে বলে কারুকাজে কোনো কমতি রাখেনি কাতার। দোহার পোর্ট সিটির ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই তৈরি হয়েছে এটি। আর খুব সহজেই পরে এগুলোকে ব্যবহার করা যাবে নতুন কোনো স্থাপনার কাজে।