গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। এই জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী ব্রাজিল মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। চোটের কারণে দলের সুপারস্টার নেইমার না থাকলেও নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়তে চায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কাতারের নাইন সেভেন্টিফোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১০টায় ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
২০১০ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে ‘ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২’ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে তৈরি করা হয় আটটি স্টেডিয়াম। এর মধ্যে বেশির ভাগ স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা কমিয়ে ফেলা হলেও নাইন সেভেন্টিফোর স্টেডিয়ামটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হবে বিশ্বকাপ শেষে।
বিশ্বকাপের পর স্মৃতি হয়ে থাকবে এই স্টেডিয়ামের খেলাগুলো। গ্রুপ পর্বের বেশ কিছু ম্যাচসহ মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতে।
এরই মধ্যে এই স্টেডিয়ামে মেক্সিকো-পোল্যান্ড, পর্তুগাল-ঘানা ও ফ্রান্স-ডেনমার্কের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। সোমবার নাইন সেভেন্টিফোরে বিশ্বকাপের হেক্সা মিশনে নামবে ব্রাজিল।
৩০ নভেম্বর আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড ও আগামী ২ ডিসেম্বর সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ডের ম্যাচসহ কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতেই। ৪০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে কাতারের দোহায়।
৯৭৪ নম্বরটি মূলত কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়াল কোড। একই সঙ্গে স্টেডিয়াম নির্মাণে যে কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছে তার সংখ্যাও এটি প্রতিনিধিত্ব হয়েছে।
শিপিং কনটেইনার দিয়ে বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরি হলেও এর কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে স্টিলের ওপর। বসানো হয়েছে রিমুভেবল সিট। ম্যাচ শেষে যা খুলে ফেলা যাবে অবলীলায়। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই স্থাপনা এক নতুন মাইলফলকের সৃষ্টি করেছে মধ্যপ্রাচ্য।
ভেঙে ফেলা হবে বলে কারুকাজে কোনো কমতি রাখেনি কাতার। দোহার পোর্ট সিটির ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই তৈরি হয়েছে এটি। আর খুব সহজেই পরে এগুলোকে ব্যবহার করা যাবে নতুন কোনো স্থাপনার কাজে।