বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে শঙ্কা জাগে নক আউট পর্বে ওঠা নিয়ে। সেই শঙ্কা কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের স্বস্তির জয় পেল দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে দলের হয়ে গোল করেছেন লিওনেল মেসি ও এনজো ফার্নান্দেস। মেসির পর আর্জেন্টিনার হয়ে ফার্নান্দেস গড়েছেন সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার কীর্তি। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে দলকে সাহায্য করে গড়েছেন রেকর্ডও।
বিরতির পর তখনও কোনো গোলের দেখা পায়নি মেসি-দি মারিয়ারা। সে সময়ে কোচ লিওনেল স্কালোনি গিদো রদ্রিগেসের জায়গায় নামান এনজো ফার্নান্দেসকে। আর সেই সুযোগের সবটুকু লুফে নেন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা এনজো।
২০০৬ সালে যেটি করেছিলেন মেসি, ২০২২ সালে তা করে দেখালেন ফার্নান্দেস। সবচেয়ে কম বয়সে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে গোল করে রেকর্ড বুকে থাকলেন দ্বিতীয় হয়ে। তখন মেসির বয়স ছিল ১৯ বছর আর ফার্নান্দেস জালের দেখা পেলেন ২১ বছর বয়সে।
আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার বর্তমানে লিগ পর্তুগাল ও চ্যাম্পিয়নস লিগে বেনফিকার হয়ে খেলছেন। ক্লাবটির হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে একটি গোল করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি খেলেছেন আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভার প্লেটের হয়ে।
মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে ফার্নান্দেসকে গোল করতে সহায়তা করা মেসিও এ দিন গড়েছেন ভিন্ন রেকর্ড।
আর্জেন্টিনা জার্সিতে পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে ছুঁয়েছেন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ২১ ম্যাচে ৮ গোলের কীর্তি সমান ম্যাচেই ছুঁয়ে এখন সামনে এগোনোর সুযোগ পাচ্ছেন মেসি।
মেক্সিকোর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে গোল করে মেসি বসেছেন কম বয়সী ও বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে গোল করার যৌথ রেকর্ডে। ১৯৬৬ সালের পর গোল পাওয়া কোনো বর্ষীয়ান হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন তিনি। গোল এনেছেন ৩৫ বছর ১৫৫ দিন বয়সে।