বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড্রাফট শেষে যেমন হলো বিপিলের সাত দল

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:৩৮

এবারের আসরে দল পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহাগ গাজী। একইসঙ্গে সাবেক টেস্ট দলপতি মুমিনুল হককে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোন ফ্র‍্যাঞ্চাইজি। এছাড়া বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হোসেন তামিমকেও দলে টেনে নেয়নি কেউই। 

৬ জানুয়ারি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসর। আসরের আগে বুধবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হল প্লেয়ার্স ড্রাফট।

এবারের ড্রাফটে যে চমক থাকবে না সেটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই ড্রাফট থেকে পছন্দের দেশি বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজিয়েছে ফ্র‍্যাঞ্চাইজিগুলো।

এবারের আসরে দল পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহাগ গাজী। একইসঙ্গে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোন ফ্র‍্যাঞ্চাইজি। এছাড়া বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হোসেন তামিমকেও দলে টেনে নেয়নি কেউই।

ড্রাফটে দেশি ক্রিকেটারদের ছিল ৭ টি ক্যাটাগরি। ড্রাফটে নাম ছিল ২১৬ জনের; এ-ক্যাটাগরিতে ৩, বি-ক্যাটাগরিতে ৭, সি-ক্যাটাগরিতে ২৬, ডি-ক্যাটাগরিতে ৩৫, ই-ক্যাটাগরিতে ৭১, এফ-ক্যাটাগরিতে ৩৮ ও জি-ক্যাটাগরিতে জায়গা হয়েছে ৩৬ জনের।

এ থেকে জি ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের মূল্য নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে- ৮০ লাখ, ৫০ লাখ, ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।

বিদেশী ৩৯৭ জন ক্রিকেটারকে ভাগ করা হয়েছে পাঁচ ক্যাটাগরিতে; এ-ক্যাটাগরিতে ৫, বি-ক্যাটাগরিতে ১৭, সি-ক্যাটাগরিতে ৩৬, ডি-ক্যাটাগরিতে ৬৪ ও ই-ক্যাটাগরিতে আছে ২৭৫ জন।

৫ ক্যাটাগরিতে মূল্য যথাক্রমে- ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২০ হাজার ডলার।

সিলেট স্টাইকার্স: বিপিএলের নতুন আসরে সিলেটের দায়িত্ব পেয়েছে সম্পূর্ণ নতুন এক ফ্র্যাঞ্চাইজি। ফিউচার স্পোর্টস লিমিটেড আগামী ৩ বছরের জন্য সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

জাতীয় দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাকে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে নিয়ে শুরুতে তারা তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। একইসঙ্গে সরাসরি চুক্তিতে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিসকে দলে ভেড়ানোর পাশাপাশি লঙ্কান তারকা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কামিন্দু মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরাকে দলে টানে তারা।

আর ড্রাফট থেকে তারা মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, রুবেল হোসেনের মতো সিনিয়রদের পাশাপাশি তানজিম সাকিব, তৌহিদ হৃদয়ের মতো তরুণদের টেনে নেয়।

সরাসরি চুক্তি: মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিস, রায়ান বার্ল, কামিন্দু মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা।

ড্রাফট থেকে: মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, রেজাউর রহমান রাজা, নাবিল সামাদ, তৌহিদ হৃদয়, রুবেল হোসেন, টম মুরর্জ, গুলবাদিন নায়েব, জাকির হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, আকবর আলী, মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, তানজিম সাকিব।

ফরচুন বরিশাল: ফরচুন গ্রুপ লম্বা সময় ধরেই ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে রয়েছে বরিশাল দলের। দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানকে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছিল তারা, যেটি ছিল অনেকটা অবধারিতই।

পাশাপাশি সরাসরি চুক্তিতে তারা টেনে নেয় পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার ইফতেখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আফগানিস্তানের ইব্রাহিদ জাদরান, করিম জানাত, ওমর কাদির, রাহামানুল্লাহ গুরবাজ ও নাভিদ উল হককে। তবে সবচেয়ে বড় চমক ছিল ক্যারিবীয় হিটার ব্যাটার রাহকিম কর্নওয়েলকে দলে টেনে নেয়াটা।

এছাড়া ফ্রাফট থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, এনামুল হক বিজয়ের মতো তারকাদের নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল সাজিয়েছে তারা।

সরাসরি চুক্তি: সাকিব আল হাসান, ইফতেখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, ইব্রাহিদ জাদরান, করিম জানাত, ওমর কাদির, রাহকিম কর্নওয়াল, কেসরিক উইলিয়ামস, রাহামানুল্লাহ গুরবাজ, নাভিদ উল হক।

ড্রাফট থেকে: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন, এনামুল হক বিজয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, হায়দার আলী, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, খালেদ আহমেদ, সাইফ হাসান, কাজী অনিক, সানজামুল ইসলাম, সালমান হোসেন।

খুলনা টাইগার্স: খুলনার ফ্র্যাঞ্চাইজি মাইন্ড ট্রি লিমিটেড সরাসরি চুক্তিতে জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতি তামিমকে ভিড়িয়ে প্রথম চমক আনে। তামিম ছাড়াও ডিরেক্ট সাইনিংয়ে তারা দলে ভেড়ায় আভিস্কা ফার্নেন্দো, ওয়াহাব রিয়াজের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে।

এছাড়া ড্রাফট থেকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, সাব্বির রহমান, ইয়াসির আলি রাব্বি, নাসুম আহমেদ, মুনিম শাহরিয়ারের পাশাপাশি দাসুন শানাকা, ভ্যান ডার ম্যাকক্রেইনকে দলে ভিড়িয়েছে তারা।

সরাসরি চুক্তি: তামিম ইকবাল, আভিস্কা ফার্নেন্দো, ওয়াহাব রিয়াজ, নাসিম শাহ, আজম খান।

ড্রাফট থেকে: মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ইয়াসির আলি রাব্বি, নাসুম আহমেদ, নাহিদুল ইসলাম, মুনিম শাহরিয়ার, সাব্বির রহমান, দাসুন শানাকা, ভ্যান ডার ম্যাকক্রেইন, শফিকুল ইসলাম, প্রীতিম কুমার, হাবিবুর রহমান সোহান, মাহমুদুল হাসান জয়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: বিপিএলের কারা খেলবেন চট্টগ্রাম দলে সেটি আগে থেকেই অনেকটা নির্ধারিত ছিল। কোন চমক ছাড়াই এবারও দল সাজিয়েছে তারা।

সরাসরি চুক্তি: আফিফ হোসেন, বিশ্ব ফার্নেন্দো, আশান প্রিয়ঞ্জন, কার্টিস ক্যাম্পের।

ড্রাফট থেকে: মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, শুভাগত হোম চৌধুরী, মেহেদী হাসান রানা, ইরফান শুক্কুর, মেহেদি মারুফ, জিয়াউর রহমান, ম্যাক্সয়েল প্যাট্রিক, উন্মুক্ত চাঁদ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, ফরহাদ রেজা, তৌফিক খান তুষার।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফ্র্যাঞ্চাইজির থাকার কথাই ছিল না এবারের আসরে। শেষ সময়ে নাটকের জন্ম দিয়ে দল নেয় তারা। আর দল পেয়েই এক্বের পর এক চমক দিতে শুরু করে দলটির ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড।

পাকিস্তানি তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলি, খুশদিল শাহকে শুরুতেই সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ায় তারা। আফগান দলপতি মোহাম্মদ নবির পাশাপাশি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকেও সরাসরি চুক্তিতে দলে টেনে নেয় তারা।

সবাইকে অবাক করে কুমিল্লা দলপতি ইমরুল কায়েসকে সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে ড্রাফট থেকে টেনে নেয় কুমিল্লা। এছাড়াও ড্রাফট থেকে তারা টেনে নেয় লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। বিদেশিদের ভেতর তারা নিয়েছে শন উইলিয়ামস ও চ্যাডউইক ওয়ালটনকে।

সরাসরি চুক্তি: মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নবি, আবরার আহমেদ।

ড্রাফট থেকে: লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তানভীর ইসলাম, ইমরুল কায়েস, আশিকুজ্জামান, জাকের আলী অনিক, শন উইলিয়ামস, চ্যাডউইক ওয়ালটন, সৈকত আলী, আবু হায়দার রনি, নাইম হাসান, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

রংপুর রাইডার্স: বিপিএলে এক আসর বিরতির পর যুক্ত হয়েছে রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসান সোহান, শোয়েব মালিক, পাথুম নিশাঙ্কা, হারিস রউফ, সিকান্দার রাজা, মোহাম্মদ নাওয়াজের মতো তারকা ক্রিকেটারদের সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ানোর পর ড্রাফট থেকে তারা টেনে নেয় শেখ মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, নাঈম শেখ, রাকিবুল হাসান, শামীম পাটোয়ারিকে।

সরাসরি চুক্তি: নুরুল হাসান সোহান, শোয়েব মালিক, পাথুম নিশানকা, হারিস রউফ, সিকান্দার রাজা, মোহাম্মদ নাওয়াজ, জেফ্রি ভ্যান্ডার্সি।

ড্রাফট থেকে: শেখ মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, নাঈম শেখ, রাকিবুল হাসান, শামীম পাটোয়ারি, রিপন মণ্ডল, হাশমতউল্লাহ উমরজাই, অ্যারেন জোনস, রনি তালুকদার, পারভেজ হোসেন ইমন, রবিউল হক, আলাউদ্দিন বাবু।

ঢাকা ডমিনেটর্স: বিপিএলের আসর বসবে আর ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নাটক হবে না সেটি আশা করাটাও যেন ভুল। অতীতের ‘ঐতিহ্য’ বজায় রেখে নবম আসরেও ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে হয় নাটক।

শুরুতে ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে প্রগতি গ্রুপকে বোর্ড নির্বাচিত করলেও হুট করেই সেটি বাতিল করে বোর্ড। ফের শুরু হয় নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি খোঁজার মিশন। দুই দিন বাদেই রূপা ফ্যাব্রিক্স লিমিটেডকে দায়িত্ব দিলেও ড্রাফটের তিন দিন আগে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিশিপও বাতিল করে বোর্ড।

আর ড্রাফটের আগের দিন তাদেরকেই আবার দেয়া হয় দলের দায়িত্ব। ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে শেষ সময়ে দায়িত্ব পেলেও খুব একটা খারাপ হয়নি তাদের দল সাজানো।

সরাসরি চুক্তিতে তারা দলে ভিড়িয়েছে তাসকিন আহমেদ, চামিকা করুনারত্নে ও দিলশান মুনাওয়ারাকে। আর ড্রাফট থেকে মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, আরাফাত সানি, নাসির হোসেন, আল-আমিন হোসেনের পাশাপাশি শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ, উসমান ঘানিকে দলে টেনে নেয় তারা।

সরাসরি চুক্তি: তাসকিন আহমেদ, চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মুনাওয়ারা।

ড্রাফট থেকে: মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলাম, আরাফাত সানি, নাসির হোসেন, আল-আমিন হোসেন, শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ, অলক কাপালি, মুনির হোসেন খান, আরিফুল হক, মুক্তার আলী, মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, উসমান ঘানি, সালমান ইরশাদ।

এ বিভাগের আরো খবর