বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বুধবার ৪টায় মাঠে নামতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এশিয়ার পরাশক্তির এ দেশটি এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দল যাদের কোনো খেলোয়াড় বিদেশি কোনো লিগে খেলেন না।
বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের স্কোয়াডের সব খেলোয়াড়ই দেশটির নিজস্ব লিগে খেলেন। সৌদি আরবেরও তাই।
সৌদি প্রফেশনাল লিগের মূল ৪ দল আল-আহলি, আল-শাবাব, আল-নাসের ও আল-হিলাল থেকেই মূলত এসেছেন স্কোয়াডের অধিকাংশ সদস্য। ২৫ জন খেলোয়াড়ের ২৩ জনই এসেছেন এই চার ক্লাব থেকে।
সৌদি আরবের তুলনায় তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা দলের কেউই খেলেন না ঘরোয়া লিগে। স্কোয়াডের ২২ জনই খেলেন ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগ অর্থাৎ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, জার্মান বুন্ডেসলিগা, স্প্যানিশ লা লিগা, ইতালিয়ান সেরি আ ও ফরাসি লিগ ওয়ানে।
সৌদি আরবে ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও তাদের মূল তারকারা খেলেন নিজ দেশের লিগেই। মাজেদ আব্দুল্লাহ, সাইয়িদ আল ওয়াইরান ও সামি আল জাবেরের মতো তারকারা তাদের পুরো ক্যারিয়ার কাটিয়েছেন নিজ দেশে।
আল জাবের ২০০০ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সসে যোগ দেন। কিন্তু ৬ মাসে ৪টি ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
যার ফলে, বর্তমান সৌদি তারকা সালমান আলফারাজ ও মোহাম্মেদ কান্নো কিংবা উঠতি তারকা হাইথাম আসিরিরা নিজ দেশে ব্যপক দর্শকপ্রিয় হলেও ফুটবল বিশ্বে তারা পরিচিত তারকা নন।
বিশ্বকাপ তাদের বিশ্বতারকা হয়ে ওঠার মঞ্চ। ১৯৯৪ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা সৌদি আরবের পক্ষে সাইয়িদ আল ওয়াইরান বেলজিয়ামের বিপক্ষে একক কৃতিত্বে যে গোল করেছিলেন সেটি আসরের সেরা গোল হিসেবে স্বীকৃতি পায় ও টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোল হিসেবে বিবেচিত।
মেসির দলের বিপক্ষে সৌদি ঘরোয়া তারকারা নিশ্চিতভাবে সুযোগ খুঁজবেন কোনো অঘটন ঘটিয়ে বিশ্বমঞ্চে তারকাখ্যাতি পাওয়ার।