অনেক আলোচনা-সমালোচনার বিশ্বকাপটা নিজ দেশে মনমতো শুরু করতে পারেনি কাতার। ইকুয়েডরের কাছে উদ্বোধনী ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে তারা অংশ হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের। এর আগের ২১টি বিশ্বকাপ আসরে স্বাগতিক দেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারেনি।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে কাতারের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। ইউরোপের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে হেরে যাওয়ার জন্য ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের মোটা অঙ্কের অর্থ অফার করেছে কাতার। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি।
পুরো ম্যাচে ইকুয়েডরের গোলে একটি শটও নিতে পারেনি কাতার। বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশের কোনো ম্যাচে এমন ঘটনা সবশেষ ঘটে ২৮ বছর আগে।
১৯৯৪ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর খেলায় ব্রাজিলের বিপক্ষে একটিও শট অন টার্গেট ছিল না স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের।
এবারের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য কাতার গত ৩ বছরে ৫২টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে একটিতে তারা ইকুয়েডরকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছিল।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কাতারের খেলোয়াড়রা অবশ্য সে ছন্দ খুঁজে পাননি। ইকুয়েডরের পক্ষে ছিল ৫৩ শতাংশ পজেশন অর্থাৎ বলের দখল।
দক্ষিণ আমেরিকার দলটির ৪৮৪টি পাসের তুলনায় কাতারের পাস ছিল ৫০টি কম অর্থাৎ ৪৩৪টি।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের মুখোমুখি হবে কাতার। ওই ম্যাচে হারলে ও গোলশূন্য থাকলে বিশ্বকাপ থেকে তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে।