বিশ্বকাপের আগে ফুটবলারদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ইনজুরি। এবারের আসরে খেলোয়াড়দের চোটে সবচেয়ে বেশি ভুগছে গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তালিকায় রয়েছেন সেনেগাল, আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, জার্মানি ও পর্তুগালের খেলোয়াড়রাও।
এনগোলো কান্তেকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে পল পগবা, প্রেসনেল কিমপেমবে, ক্রিস্তোফার এনকুনকু নাম লেখান ইনজুরির তালিকায়। সবশেষ এই তালিকায় নাম ওঠান বর্তমান ব্যলন ডরজয়ী ফুটবলার কারিম বেনজেমা।
আর বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আফসোস হিসেবে থাকবে সেনেগালের সাদিও মানের ছিটকে যাওয়াটা।
এনগোলো কান্তে: চলতি মৌসুমের শুরুতে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়েন ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার কান্তে। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও বেশি সময় কাটাতে পারেননি। চোট পেয়ে কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয় তাকে।
পল পগবা: ফ্রান্সের দ্বিতীয় অভাগা পল পগবা। ইনজুরির কারণে অস্ত্রোপচার করা হলে বেশ কিছুদিন তাকে থাকতে হয় মাঠের বাহিরে। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেও অনুশীলনে নিজেকে পুরোপুরি ফিট প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায় তার।
কারিম বেনজেমা: কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় কপাল পোড়া বলা যায় কারিম বেনজেমাকে। বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার কয়েক ঘণ্টা আগে পেশির চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের এই তারকা স্ট্রাইকারকে।
সাদিও মানে: বায়ার্ন মিউনিখের মানে সেনেগালের সেরা তারকা। বিশ্বকাপের ঠিক ১১ দিন আগে হাঁটুর ইনজুরি তাকে ছিটকে দিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে। শেষ সময় পর্যন্ত আশা ছিল তাকে বিশ্বকাপে পাওয়া নিয়ে। অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে দেখে তাকে ছেড়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে হচ্ছে সেনেগালকে।
জিওভান্নি লো সেলসো: আর্জেন্টিনার মাঝমাঠে ভরসার নাম লো সেলসো। চলতি মাসের শুরুতে পাওয়া চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া লাগে তার। ২০১৮ বিশ্বকাপে স্কোয়াডে থাকলেও সেবার তার মাঠে নামা হয়নি এক ম্যাচেও। আশা ছিল এবার। কিন্তু সেটিও কেড়ে নিল ইনজুরি।
প্রেসনেল কিমপেমবে: ফ্রান্সের ২৬ সদস্যের দলে জায়গা করে নেয়া কিমপেমবে চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় ছিটকে গেছেন কাতার বিশ্বকাপ থেকে।
দিয়োগো জোতা: প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে খেলতে নেমে পেশির চোটে পড়েন পর্তুগিজ এই তারকা। পেশির চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া লেগেছে তার।
হোয়াকিন কোরেয়া: বিশ্বকাপ শুরু ঠিক আগ মুহূর্তে কপাল পোড়া আরেক ফুটবলার আর্জেন্টিনার হোয়াকিন কোরেয়া। বিশ্বকাপের আগে আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েন তিনি। নিকো গনসালেসের পরিবর্তে কাতার বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু চোটের কারণে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে দেশে।
রিস জেমস: কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া একমাত্র ইংলিশ ফুটবলার জেমস। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে হাঁটুর চোটে পড়েন চেলসির এই রাইট ব্যাক। পুনর্বাসনে থাকলেও শেষ পর্যন্ত শতভাগ ফিট হতে পারেননি।
টিমো ভেরনার: চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে গোঁড়ালির ইনজুরিতে পড়েছিলেন জার্মানির ফরোয়ার্ড ভেরনার। চোট বেশ গুরুতর হওয়ায় কাতার বিশ্বকাপ থেকে সে সময়ই ছিটকে যান তিনি।
ক্রিস্তফার এনকুনকু: ফ্রান্সের এ তরুন ফরোয়ার্ড দলের সঙ্গে কাতারে আসেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিতে। কিন্তু অনুশীলনের সময় সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সঙ্গে সংঘর্ষে হাঁটুর লিগামেন্টে আঘাত পেয়ে বিশ্বকাপ মিশনে ইস্তফা দেয়া লাগে ফরাসি এই ফুটবলারকে।
নিকোলাস গনসালেস: প্রস্তুতি ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময় পেশিতে টান পড়ে আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের। আর তাতে করে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া লাগে তার।