মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন, বিদেশি কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কের মধ্যেই রোববার কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ শুরুর প্রাক্কালে নানা দেশে চলছে এই নিয়ে জোরদার আন্দোলন।
শত আন্দোলন উপেক্ষা করে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এক মাসের মহাযজ্ঞ।
গুঞ্জন রয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও কাজ করছে এসব আন্দোলনের পেছনে। কেননা, প্রভাবশালী অনেক দেশই চায়নি যে কাতারে বিশ্বকাপের আয়োজন হোক।
তবে খেলার সঙ্গে রাজনীতি না মেশানোর আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
ব্যাংককে এশিয়া প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই খেলাধুলা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত হবে না। আমার মতে, ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতি বর্জন করতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতি টেনে আনার ধারণাটি খুবই বাজে।’
তবে কাতারের বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে যাননি তিনি। বরং এ বিষয়ে আরও বেশি সোচ্চার হওয়া দরকার ছিল স্বাগতিকদের, এমনটাই মনে করেন তিনি।
ম্যাখোঁ বলেন, ‘টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রার্থিতা ঘোষণার সময়ই কাতার বিষয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা উচিত ছিল। আয়োজক স্বত্ব দেয়ার সময় ফিফার এসব বিষয় সমাধান করা উচিত ছিল।’
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ফ্রান্স। গ্রুপের পরের দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়া।