চার দলের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে ফরম্যাট মাঠে গড়াবে ২০ নভেম্বর। বিকেএসপির তিন ও চার নম্বর মাঠে হবে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো। শুধুমাত্র ফাইনাল হবে হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এবারের বিসিএলে ওয়ানডে ফরম্যাট অনুষ্ঠিত হবে চার দিনের ফরম্যাটের আগে।
প্রস্তুতি নেয়া হবে যেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে, সেটি নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি হবে বিকেএসপির উইকেটে। স্লো আর লো উইকেট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের জন্য।
বিকেএসপির গ্রাউন্ড ৩ ও ৪ এর উইকেটে খেলা শেষ কয়েকটি ম্যাচের দিকে তাকালে দেখা যায়, বল কখনো উঠে আসছে, কখনো না নেমে যাচ্ছে। এমনই এক ব্যালেন্স ছাড়া উইকেটে খেলে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি সাড়ার পরিকল্পনা করেছে বোর্ড।
টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধানের দাবি, বিসিএলের ম্যাচগুলোর ভেন্যুর উইকেটে যথেষ্ট পরিমাণে ঘাস রয়েছে। আর সেই উইকেটে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমানে বাউন্স।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিকেএসপির আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল আলম ববি।
ববি বলেন, ‘আমি ফোনে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি বা ওখানে আমাদের যে প্রতিনিধি আছে তাদের জিজ্ঞেস করেছি, সবাই বলেছে যে উইকেটে ঘাস আছে বাউন্স আছে।’
বোলাররা এমন উইকেটে সাফল্য পেলেও ব্যাটারদের জন্য এটি খুব একটা সুখকর বিষয় না। বল বুঝে উঠতে না পেরে ব্যাটিংয়ের সময় বাজেভাবে আউটের শিকার হতে পারেন তারা। তবে এক্ষেত্রে উইকেটের নয়, ব্যাটারদের দোষ দেখছেন এই বোর্ড সভাপতি।
ববি বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা হয়তো আগে থেকে নির্ধারিত কিছু শট খেলে ফেলেছে। সে জন্যই। এটায় উইকেট বা অন্যান্য কিছুকে দোষারোপ করা যাবে না। ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানসহ সিনিয়ররা বলছেন এক-দুইটা সিজন গেলে মানিয়ে নেয়া যাবে।’