জয়ে শুরু জয়েই শেষ। এটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের যাত্রার চিত্র। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড।
সে সুবাদে এক যুগ পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা খরা কেটেছে ইংলিশদের।
বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে শুরু করেনি ইংল্যান্ড। পূর্ণশক্তির দল নিয়ে গেলেও ইনজুরি বাধায় শক্তি কিছুটা কমে যায় বিশ্বকাপ শুরু করতে করতে। তারপরও বাজিমাত করে ২০১২ সালের আসরে হারানো শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বাটলাররা।
বিশ্বকাপের যাত্রাটা ইংল্যান্ডের শুরু হয়েছিল আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারানোর মধ্য দিয়ে। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে পরের ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে হেরে অঘটনের জন্ম দেয় জস বাটলার বাহিনী।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বৃষ্টি বাধায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। আর তাতে শঙ্কা জাগে সুপার টুয়েলভ থেকেই বিশ্বকাপ মিশনে ইতি টানার।
সেমির স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে জয় ভিন্ন রাস্তা খোলা ছিল না ইংলিশদের। তবে শেষ দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় বাগিয়ে নিয়ে সেমি নিশ্চিত করে বাটলার-স্টোকসরা।
সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে নিজেদের বিধ্বংসীরূপ দেখায় ইংল্যান্ড। রোহিত শর্মাদের ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে ২০১০ সালের শিরোপাজয়ীরা।
আর ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এক যুগ পর ঘরে তোলে শর্টার ফরম্যাটের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আর এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ৭ ম্যাচের সিরিজে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই জয়ের ধারা ধরে রেখে ২৮ দিনের বিশ্বকাপ মিশনের মধুর সমাপ্তি টানে ইংলিশরা।
যাত্রার শুরুটা জয় দিয়ে করে শেষটাও জয় দিয়ে রাঙাতে পেরে বেশ খুশি ইংল্যান্ড দলপতি জস বাটলার। আর বিষয়টিতে বেশ গর্বিতও তিনি।
ম্যাচ শেষে বাটলার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাটা যেন এক মধুর সমাপ্তি। আমি অসম্ভব গর্বিত। যাত্রাটা বেশ বড় ছিল, সাথে ছিল বেশ কিছু পরিবর্তন, কিন্তু আমরা পুরস্কার পেয়েছি। দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট ছিল। আমাদের এ সাফল্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যা ঘটেছে তার চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন।’