১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। ওই ম্যাচে ৪ উইকেটের জয়ে ফাইনালে ওঠে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। আর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পায় তারা।
৩০ বছর পর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে। নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাল পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। একই সঙ্গে নিশ্চিত করেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল।
শুরু থেকে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন বড় জয়ের দিকে। এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ৮৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।
বাবর আজম ৩৮ বলে তুলে নেন তার হাফ সেঞ্চুরি। ৪২ বলে ৫৩ করে দলপতি ফিরলে ভাঙে পাকিস্তানের ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
সঙ্গীর বিদায়ের রেশ কাটাতে আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন রিজওয়ান। ৪৩ বলে ৫৭ করে যখন রিজওয়ান বিদায় নেন, তখন পাকিস্তানের রান ১৩২। শেষ দিকে ২৬ বলে ৩০ করা হারিস বিদায় নিলেও জয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
এর আগে শুরুতে ধীরগতির ব্যাটিং করলেও শেষ দিকে এসে উইলিয়ামসনের দায়িত্বশীল ও ড্যারেল মিচেলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সামনে ১৫২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড।