পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে টিকে থাকার শেষ চেষ্টায় থাকা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় সৌম্য সরকারকে ম্যাচের ১১তম ওভারে ফেরান শাদাব খান। সে ওভারের পরের বলে সাকিব আল হাসানের বল প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার।
কিছু সময় দ্বিধায় থাকার পর আবেদনে সারা দেন ফিল্ড আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক। আঙুল তুলে সাকিবকে আউটের ঘোষণা দেন।
সাকিব নিশ্চিত ছিলেন সেটি আউট হয়নি। যে কারণে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন টাইগার অধিনায়ক। আর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দায়িত্ব তখন চলে যায় ম্যাচের থার্ড আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরির হাতে।
রিপ্লে দেখে তিনি সাকিবকে আউটের সিদ্ধান্তটাই বহাল রাখেন, কিন্তু টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, যে সময় আলট্রা এজে সাউন্ড ধরা পড়ে, সে সময় সাকিবের ব্যাট মাটি থেকে বেশ ওপরে ছিল।
সে সময় আলট্রা এজে ধরা পড়ে যে সাউন্ডটি সেটি ব্যাটে বল লাগার ফলেই হয়েছে সেটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। ব্যাটে বল লাগার পর সেটি গিয়ে লাগে প্যাডে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্যারিবীয় আম্পায়ার ল্যাংটন বহাল রাখেন ফিল্ড আম্পায়ারের কল।
ব্যাট সে সময় মাটিতে না লাগলেও থার্ড আম্পায়ার জানান, সাকিবের ব্যাট মাটিতে স্পর্শ করার শব্দই রিপ্লেতে আল্ট্রা এজ হিসেবে ধরা দিয়েছে। আর বল ব্যাটে না লেগে পায়ে লাগায় ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন তিনি।
আর এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে কমেন্ট্রি বক্স সব জায়গায় আলোচননার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে সাকিবের আউটটি আসলেই আউট না নট আউট। আউট হলে সেটি আসলে কিভাবে কোন দিক দিয়ে হয়েছে।
উত্তরটি জানিয়েছেন বোলার শাদাব খান নিজে। পাকিস্তানের ইনিংস শেষে তার কাছে আউটের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, তাই ওটা আউট।’
সাকিব রানের খাতা খোলার আগেই হতাশ হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। সে সময় বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৭৩। সেই থেকে শুরু হওয়া ধসে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রান তোলে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
আর পাকিস্তান ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়ে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করার পাশাপাশি শেষ করে দেয় টাইগারদের বিশ্বকাপের মিশন।