টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান। দারুণ শুরু করলেও নিজেদের ইনিংসের শেষটা তেমন একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানকে এই রানের মধ্যে আটকে রাখতে হবে বাংলাদেশি বোলারদের।
অ্যাডিলেইড ওভালে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে রোববার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষ দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
তৃতীয় ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কা হাঁকান লিটন দাস। পঞ্চম বলে কাট করতে গিয়ে শান মাসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় ২১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
এরপর শান্তর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। এবারও সৌম্য ক্যাচ তুলে দেন মাসুদের হাতে। ১ চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ২০ রান করেন তিনি। এরপর সাকিব আল হাসান ১ বল খেলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন অধিনায়ক সাকিব। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে বল লাগলেও বিতর্কিতভাবে শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন সাকিব।অধিনায়কের পর আউট হন ফিফটি তুলে নেয়া শান্তও। ইফতিখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় তার ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। এরপর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। গড়ে ওঠেনি পার্টনারশিপও।১১ বলে ৫ রান করে মোসাদ্দেক বোল্ড হন আফ্রিদির বল বুঝতে না পেরে। আর সোহান তুলে মারতে গিয়ে ২ বলে শূন্য রানে দেন ক্যাচ।
এরপর আফিফ চেষ্টা করলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসের শেষ ৫৩ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি। দুই উইকেট পান শাদাব খান।