এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল দলটি। বিশ্বকাপের আসরেও নামিবিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা।
প্রথম পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বের খেলার উড়ন্ত সূচনা করল দাসুন শানাকার দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে আসা আয়ারল্যান্ড পাত্তাই পেল না শ্রীলঙ্কার কাছে। গ্রুপ ওয়ানের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভার হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে লঙ্কানরা।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে খুব একটা জ্বলে উঠতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় আইরিশরা।
হোবার্টে রোববার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় দলটি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে কুমারার ডেলিভারিতে বোল্ড হন ওপেনার অ্যান্ড্রু বালবির্নি। এরপর দলীয় ২৬ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার লোরকান টাকার।
এরপরও পল স্টার্লিংয়ে আশা দেখছিল আইরিশরা। কিন্তু আইরিশদের মূল ভরসা স্টার্লিং আউট হলে চাপে পড়ে দলটি। দলীয় ৫৫ রানে স্টার্লিংয়ের প্রতিরোধ ভাঙেন ডি সিলভা। ২৫ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন আইরিশ এ ওপেনার।
এরপর হ্যারি ট্যাক্টরের ৪২ বলে ৪৫ রানের ইনিংসের সঙ্গে জর্জ ডকরেলের ১৪ বলে ১৬ রানের ওপর ভর করে ১২৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে ২টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা ৪৫ রান করেন হ্যারি। এ ছাড়া বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
বোলাররাই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১২৯ রানের। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কুশল মেন্ডিস ৫০ বলে ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে আশায় বুক বাধতে দেননি আইরিশদের।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মাহিশ থিকসানা এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
রান তাড়ায় ধনঞ্জয়া ২৫ বলে ৩১ করে ফিরলেও কুশল মেন্ডিস হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। দ্বিতীয় উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে ৪০ বলে ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মেন্ডিস। ৪৩ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে। ২২ বলে ৩১ আসে আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে।
আইরিশদের হয়ে একমাত্র উইকেটি নেন গ্যারেথ ডেলানি।