সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে ইন্দোনেশিয়ার যে ফুটবল স্টেডিয়ামে ১৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছিল; সেই স্টেডিয়ামটি গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে এক বৈঠকের পর মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত পহেলা অক্টোবর দেশটির উত্তর জাভা প্রদেশে মালাং শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
আগামী বছর হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনায় বসে ফিফা ও ইন্দোশিয়ার প্রেসিডেন্ট যৌথ টাস্কেফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করেন তারা।
জোকো উইদোদো বলেছেন, ‘কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়াম… আমরা এটি গুঁড়িয়ে দেব। ফিফার মানদণ্ড অনুযায়ী স্টেডিয়ামটি পুনর্নির্মাণ করব।’
ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি বলেন, ‘এটি একটি ফুটবলকেন্দ্রিক দেশ। ফুটবল এই দেশের মানুষের আবেগ। ম্যাচের নিরাপত্তায় ব্যবস্থায় নেয়ায় আমরা তাদের কাছে ঋণী।’
দুর্ঘটনার রাতে স্টেডিয়ামটিতে আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া নামের দুটি ক্লাবের মধ্যে খেলা ছিল। এতে আরেমাকে ৩-২ গোলে হারায় পেরসেবায়া। ক্লাব দুটি দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী।
উত্তর জাভা পুলিশের প্রধান নিকো আফিন্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ম্যাচ শেষে পরাজিত দলের সমর্থকরা মাঠে নেমে হাঙ্গামা শুরু করে। তাদের সরাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়লে অনেকে পদদলিত হন। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় প্রায় লোকের মধ্যে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মালাং স্টেডিয়ামের দর্শক সারি থেকে লোকজন ফুটবল পিচের দিকে ছুটে যাচ্ছে। মাঠে মরদেহ বহনের ব্যাগও দেখা যায়।
শুরুতে মৃতের সংখ্যা ১৭৪ বলে বলা হলেও পরে এই সংখ্যা ১৩৩ ঘোষণা করা হয়। পূর্ব জাভার ভাইস গভর্নর এমিল দারদাক জানান, নিহতদের তালিকায় অনেকের নাম দুইবার ওঠায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ক্লাবগুলোর মধ্যে তীব্র স্নায়ুযুদ্ধ কখনও কখনও সমর্থকদের সংঘর্ষে রূপ নেয়।