এশিয়া কাপের মধ্য দিয়ে লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফেরেন সাব্বির রহমান, কিন্তু এশিয়া কাপ, আরব আমিরাত সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে পারফর্ম করতে না পারায় বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয় ডানহাতি এ ব্যাটারকে।
লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরলেও বেশি দিন সেই জায়গা ধরে রাখতে পারেননি সাব্বির; ফের ছিটকে গেছেন দল থেকে।
তারপরও এ নিয়ে আক্ষেপ নেই সাব্বির রহমানের। বিষয়টিকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তিনি। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এমনটাই জানান ডানহাতি এ ব্যাটার।
সাব্বির বলেন, ‘বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ায় আমার একটুও আক্ষেপ নেই, ইমোশন নেই। দেখুন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো করেছি বলেই আমাকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি চার ম্যাচে কিছু করতে পারিনি, যার জন্য বাদ পড়েছি। এ জন্য আমি অখুশি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমার জায়গায় খেলছেন, তারা অবশ্যই আমার থেকে যোগ্য। দিনশেষে যদি বাংলাদেশ জেতে, সবচেয়ে বেশি খুশি আমি হব। আশা করি আপনারা সবাই খুশি হবেন।
‘যদি আমি পারফর্ম না করতাম, তাহলে আমি এশিয়া কাপে, বিশ্বকাপে ডাক পেতাম না। যদি আমি মানুষের কিছু করে সুযোগ পেতাম, তাহলে তিন বছর বসে থাকতাম না।’
জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়ার পর থেকে নানা ইস্যুতে আলোচনার চেয়ে সমালোচিতই বেশি হন সাব্বির। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন টিকটকে নানা ভিডিও আপলোড করে।
বিষয়টিকে ব্যক্তিগত হিসেবে নেয়ার আহ্বান জানান টাইগার এ ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘আমি টিকটক করেছি ফান করে; অন্য কিছু নয়। আমি মনে করি না, আমি দেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করেছি।
‘ক্রিকেট লাইফ আলাদা, পারসোনাল লাইফ আলাদা। যেভাবে সাংবাদিক ভাইরা তুলে ধরেছেন, মনে হয় যেন আমি বড় অপরাধ করে ফেলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিনশেষে আমার পরিবার আছে। আব্বু-আম্মু আছে, ওয়াইফ আছে, সবাই আছে। তারা এসব দেখলে কষ্ট পায়। আমার মনে হয়, টিকটক নিয়ে এত বেশি বলা উচিত নয়। টিকটক নিয়ে যেভাবে নিউজ করেছেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
সংবাদমাধ্যমকে আরও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান সাব্বির। তিনি বলেন, ‘আমি তো দেশের জন্য খেলি। একটা মানুষের সম্মান আছে। কেউ যদি এসব নিয়ে নেগেটিভ নিউজ করে, তবে মান-সম্মানহানি হতে পারে।
‘আশা করি সাংবাদিক ভাইরা এসব নেগেটিভ নিউজ থেকে বিরত থাকবেন। দেশে অনেক নিউজ আছে, যেগুলো করলে দেশের উপকার হবে; সেগুলো তুলে ধরেন।’