হারের বৃত্তে আটকে থেকেই ত্রিদেশীয় সিরিজের মিশন শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেই সিরিজ শেষ করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সিরিজের শুরু থেকেই ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। যদিও শেষ ম্যাচে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে টাইগার ব্যাটাররা। কিন্তু বোলিং ডিপার্টমেন্ট থেকে সাড়া না মেলায় ১৭৩ রান করেও পরাজয়কে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
প্রতিবার হারের পর কোনো না কোনো যুক্তি দাঁড় করান জাতীয় দলের অধিনায়করা। বেশির ভাগ সময়ই তাদের বলতে শোনা যায় আরও কিছু রান আমাদের প্রয়োজন ছিল। এটা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কদের যেন একটা পূর্ব নির্ধারিত বুলি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্যাটাররা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেও একই আক্ষেপ শোনা যায় দলপতি সাকিবের কণ্ঠে।
বাংলাদেশ তাদের ব্যাটিং ইনিংসের পুরোটা সময় প্রায় একই রকমের রানরেট ধরে রাখলেও শেষ ওভারে নিতে সক্ষম হয় মাত্র ৩ রান। বিপরীতে বিলিয়ে দিয়ে আসে দুটি উইকেট। আর এই শেষ ওভারের আক্ষেপটাই যেন পুড়িয়ে মারছে সাকিবকে।
ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘সিরিজে আমরা খুব কঠিন সময় পার করেছি। আমরা আমাদের সেরা খেলাটি আজকে খেলেছিলাম। আমরা শেষ ওভারে আরও কিছু রান করতে পারতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমাদের বলা হতো ইনিংসের শুরুতে আমরা ১৭৩ রান পাব, তাহলে আমি আনন্দের সাথে তা গ্রহণ করতাম। এখন আমরা যেই অবস্থানে রয়েছি, সেখান থেকে আমরা আরও রান করতে সক্ষম।’
তবে এক ম্যাচেও জয়ের দেখা না পেলেও আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা খারাপ হয়নি সাকিবের চোখে। হারকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন টাইগার দলপতি। কেননা সাকিবের দাবি, এই সিরিজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।
সাকিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপে যে দল খেলবো সে বিষয়ে আমরা খুব পরিষ্কার, তাই এটা ভালো। আমার কাজ হল দলের জন্য রান করা, বোলিংটা ভালো নয়, যদিও আমি উন্নতি করতে চাই। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমরা অনেক উন্নতি করেছি এবং এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক কিছু।’