৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান গিয়েছিল ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাদের আশা জাগাচ্ছিল রেকর্ড গড়ার।
এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে কোনো সিরিজ জয় পায়নি পাকিস্তান। প্রথম সিরিজ জয়ের রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছিল বাবর আজমদের, কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
সমতায় ফেরানো সিরিজের সপ্তম ও শেষ ম্যাচে বড় জয়ে আরও একবার সিরিজ জিতে নিল সফরকারীরা। শেষ ম্যাচে তারা জয় পায় ৬৭ রানের।
ইংল্যান্ডের দেয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪২ রান তুলে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংসের চাকা। আর সেই সুবাদে ইংল্যান্ড জয় পায় ৬৭ রানে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও দলীয় ৩৯ রানে ব্যাক টু ব্যাক সাজঘরে ফিরে যান দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও ফিল সল্ট।
মোহাম্মদ হাসনাইনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ১৩ বলে ১৮ করে মাঠ ছাড়েন হেলস। আর শাদাব খানের রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে সল্টের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২০ রান।
ধাক্কা কাটিয়ে ইংলিশরা ট্র্যাকে ফেরে ডাওয়িড মালানের কল্যাণে। সঙ্গী বেন ডাকেট ১৯ বলে ৩০ করে ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন মালান।
তার ৪৭ বলে হার না মানা ৭৮ রান ও হ্যারি ব্রুকসের অপরাজিত ২৯ বলে ৪৬ রানের সুবাদে ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সামনে ২০৯ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ইংল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি কেউই।
কেবল শান মাসুদ (৫৬), খুশদিল শাহ (২৭) ও ইফতিখার আহমেদের (১৯) পক্ষে সম্ভব হয় দুই অঙ্কের রান ছোঁয়া। বাকিদের এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকেই ফিরতে হয় সাজঘরে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। আর তাতে ৬৭ রানের জয়ের পাশাপাশি ৪-৩ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
ইংলিশদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন ক্রিস ওকস। দুটি উইকেট নেন ডেভিড উইলি। আর একটি করে উইকেট যায় রিস টপলি, আদিল রাশিদ ও স্যাম কারানের ঝুলিতে।