ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।
রাফিনিয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সঙ্গে নেইমারের ধারাবাহিকতায় ৫-১ গোলে জয় পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
গত শুক্রবার আফ্রিকার দেশ ঘানার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের এবার ৫-১ গোলের বড় জয়ে দুই প্রীতি ম্যাচে ৮ গোল করেছে ব্রাজিল।
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে নিজের জোড়া গোলের সঙ্গে অন্যকে আরও একটি গোল পেতে সহায়তা করেন রাফিনিয়া। নেইমার, রিচারলিসন ও পেদ্রো করেন একটি করে গোল।
গত বছরের কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পর থেকে ১২ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত ব্রাজিল।
তিউনিসিয়ার সঙ্গে ব্রাজিলের দেখা হয়েছে দুইবার। ১৯৭৩ সালের প্রথম দেখায় জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। এবারও তারা জয় পেল দলটির বিপক্ষে।
প্যারিসে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে শুরুটা দারুণ করে নেইমার বাহিনী। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩০তম স্থানে থাকা তিউনিসিয়াকে শুরু থেকে চেপে ধরে এক নম্বর দল ব্রাজিল। ম্যাচের ১১ মিনিটের মাথায় লিড নেয় লিওনার্দো তিতের শিষ্যরা।
মাঝমাঠ থেকে কাসেমিরোর কাছ থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া, তবে ৭ মিনিটের মাথায় সমতায় ফিরে প্রতিপক্ষ তিউনিসিয়া। মনতাসার তালবির গোলে ১-১ গোলের সমতায় ফেরে স্কোরলাইন।
এক মিনিট পরে আবারও লিড নেয় তিতের দল। ডান দিক থেকে রাফিনিয়ার কাছ থেকে পেয়ে বল জালে জড়ান রিচারলিসন। এতে করে ২-১ গোলে আবারও এগিয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নেইমার-রাফিনিয়াদের।
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে একের পর এক গোল উৎসবে বিরতির আগে পেনাল্টি কিকে গোল পান নেইমার। ২৭তম মিনিটে কাসেমিরোকে ডি-বক্সে তিউনিসিয়ার একজন টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে ব্যবধান বাড়িয়ে ৩-১ করেন নেইমার।
বিশ্বকাপের আগে দারুণ ফর্মে আছেন রিচারলিসন। এ নিয়ে ব্রাজিলের সবশেষ ছয় ম্যাচে তার গোল হলো ৭টি। জাতীয় দলের জার্সিতে সব মিলিয়ে ১৭টি।
৪০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করে দলকে বড় জয়ের পথে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া। দুই মিনিট পর বড় ধাক্কা খায় তিউনিসিয়া। নেইমারকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডিলান ব্রন। একপর্যায়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের রিচার্লিসন।
৭৪তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান পেদ্রো। এতে ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিতের শিষ্যরা।