আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় পেলেও এবার তাদের সংগ্রহের কাছে যেতে পারেনি স্বাগতিক পাকিস্তান। ইংলিশদের দেয়া ২২১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৮ রান করে পাকিস্তান। এতে করে ৬৩ রানের জয় পায় সফরকারী ইংল্যান্ড।
সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অধিনায়ক মঈন আলীর দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪৮ রানের জয় পেয়েছিল ইংলিশরা।
করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পান অধিনায়ক মঈন আলী। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে সফরকারী ইংল্যান্ড।
ওপেনিংয়ে নামা ফিল সল্ট ৬ বলে ৮ রান করে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। পরে দলের হাল ধরেন উইল জ্যাকস ও ডাউইয়িড মালান। জ্যাকসের ২২ বলে ৪০-এর সঙ্গে মালান করেন ১৫ বলে ১৪ রান।
বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বেন ডাকেট ও হ্যারি ব্রুক। ডাকেটের ৪২ বলে অপরাজিত ৭০ ও ব্রুকের ৩৫ বলে অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড।
ডাকেট ও ব্রুক জুটির ১৩৯ রান চতুর্থ উইকেটে ইংল্যান্ডের রেকর্ড। ২০১০ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে কেভিন পিটারসেন ও ওইন মর্গান জুটির ১১২ রান ছিল আগের সর্বোচ্চ।
রান তাড়ায় শুরু থেকে চাপে পড়ে আগের ম্যাচে দাপুটে জয় পাওয়া পাকিস্তান।
দলীয় ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাবর আজমের দল। মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, হায়দার আলী ও ইফতিখার আহমেদের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন শান মাসুদ ও খুশদিল শাহ। ২৯ করা খুশদিলকে আউট করে ৬২ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।
অন্যপ্রান্তে একা দলকে টানতে থাকেন মাসুদ। টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন ২৮ বলে। তিন চার ও চার ছক্কায় ৬৫ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেন।
এ ছাড়া বাকিদের আশা-যাওয়ার মাঝে মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২১ রান।
সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের মার্ক উড। অন্যদিকে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংসটির জন্য ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান ব্রুক।
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি খেলতে একই মাঠে আগামী রোববার মুখোমুখি হবে দল দুটি।