দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পর বুধবার দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা। দেশে ফিরে সংবর্ধনা পেয়েছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। আনন্দ উৎসবের মাঝে বাফুফে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো কথা বলতে পারেননি তারা।বৃহস্পতিবার খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন। সেখানে খেলোয়াড়দের প্রয়োজন ও চাওয়া-পাওয়ার কথা শুনেছেন সভাপতি।
সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় শেষে নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে জানান, নারীদের বেতন কাঠামো নিয়ে নতুন করে ভাবছে বাফুফে। বাড়ানো হচ্ছে তাদের বেতন।
সাবিনা বলেন, ‘আমাদের তো চাওয়ার শেষ নাই (হাসি)। এর মধ্যে ছিল মেয়েদের স্যালারি ও আনুষাঙ্গিক কয়েকটি বিষয়। বলা হয়েছে আমাদেরকে একটা সম্মানজনক স্যালারি দেয়া হবে।’
নতুন বেতন কত হবে সেটা তারা জানাননি। তবে সাফল্যের ধারাবাহিকতার সঙ্গে ফুটবলারদের পারিশ্রমিকও বাড়া উচিত বলে মনে করেন সাবিনা। অধিনায়ক জানান, ফেডারেশন তাদের চাওয়ায় সাড়া দিতে সময় নেয়নি। সাবিনা যোগ করেন, ‘আপনারা জানেন বাংলাদেশে ক্রিকেট ও ফুটবল ছাড়া অন্য কোনো নারী দলের খেলোয়াড়রা বেতন পান না। আমরা সেই দিক থেকে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি।
‘যে বেতন পাই সেটা আমার জন্য যথেষ্ট। যেহেতু মেয়েরা ভালো করছে তাই আমি মনে করি আমরা আরেকটু ভালো কিছু ডিজার্ভ করি। বাফুফেও মনে করছে যে আমাদের স্যালারিটা আরেকটু বাড়ানো উচিত। তবে বেতনের ক্যাটাগরির বিষয় ফেডারেশন ভালো বলতে পারবে।’
গত এক দশক ধরে টানা খেলার মধ্যে থাকার কারণে নারী দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় এখন পেশাদারী মনোভাবের, এমনটা বিশ্বাস সাবিনার। নারী ফুটবলের উন্নতির উদাহরণ সবার চোখের সামনে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাবিনা বলেন, ‘মেয়েরা আসলে খেলাটাকে এখন পেশাদারভাবে নিচ্ছে। তারা খেলাটা বুঝতে পারছে। ফেডারেশনের যে লক্ষ্য সেটাও পূরণ হয়েছে। (সালাউদ্দিন) গতরাতে যেমনটা বলছিলেন যে, ২০২৪/২৫ সালের দিকে এরকম একটা পারফরম্যান্স তারা আশা করেছেন। কিন্তু এর আগেই এ ধরনের পারফরম্যান্স তারা আমাদের কাছ থেকে পেয়েছে। এটা বলা যায় যে নারী ফুটবল কতটা উন্নতি করেছে সেটা এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’