২০০৯ সাল থেকে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সভাপতির পদে আছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তার এই লম্বা সময়ে বাংলাদেশ একটা শিরোপার স্বাদ পায়নি।
বয়সভিত্তিক নারী দল সাফের শিরোপার স্বাদ পেলেও জাতীয় দলের দেখা মিলছিল না শিরোপার। তবে সেই আক্ষেপ ঘুচেছে বাফুফে বসের।
নেপালকে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দল পেল সাফ শিরোপার স্বাদ।
হয়তো আশাও করেননি সালাহউদ্দিন যে, বাংলাদেশ শিরোপা জিতবে। যে কারণে খবরটা রীতিমতো অবাক করেছে তাকে।
একে তো সাফের সভাপতি, অন্যদিকে তিনি যেই দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান কর্তা তিনি দল ফাইনালে ওঠার পরও যাননি মাঠে। ঘরে বসেই দেখেছেন খেলা। আদৌ দেখেছিলেন কি না সে বিষয়েও রয়েছে সংশয়।
বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান হয়ে বাংলাদেশ সাফের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার পরও তার মাঠে না যাওয়ার বিষয়টি বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। এতে কিছুটা হলেও ইঙ্গিত পাওয়া যায় মেয়েদের ফুটবল নিয়ে বাফুফের উদাসীনতার।
তবে ম্যাচ শেষে এতটাই খুশি হয়েছিলেন সালাহউদ্দিন যে খুশিতে কারও ফোন ধরার মতো অবস্থায়ও ছিলেন না তিনি। যেখানে সফলতার প্রশংসা শুনতে পুরো পৃথিবী ব্যতিব্যস্ত, সেখানে নিজেকে আড়ালে রেখে অনন্য এক নজির স্থাপন করলেন বাফুফে সভাপতি।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অনেকেই ফোন করেছিলেন। আমি ফোন ফেলে রেখেছিলাম। খুশিতে কারও ফোন ধরিনি। আমি অনেক আনন্দিত, অনেক খুশি।’