সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটে দূরে বাংলাদেশ। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে সাবিনা-মারিয়ারা।
নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সোমবার বিকেলে ম্যাচের প্রথম মিনিটে লিড নেয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। মারিয়া মান্ডার দূরপাল্লার শট নেপালের গোলকিপার রুখে দিলেও সুযোগ ছিল সিরাত জাহান স্বপ্নার। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি।
স্বপ্না সেমিফাইনালে ব্যথা পেয়েছিলেন। আঘাত নিয়েই ফাইনাল খেলতে নামেন। তবে শুরুতে আবার মাঠে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন মাঠ থেকে তাকে তুলে নেন। বদলি হিসেবে নামানো হয় শামসুন্নাহার জুনিয়রকে।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে থাকা কোচ ছোটনের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা প্রমাণ করতে বেশি সময় নেননি শামসুন্নাহার। ১৩তম মিনিটে তার করা গোলে লিড পায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।মাঠে উপস্থিত ১৫ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়ে নেপালের তিনজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে গোলের দেখা পেয়ে যান তিনি।
৩৫তম মিনিটে ফ্রি-কিক পায় নেপাল। তবে গোলকিপারের দক্ষতায় রক্ষা পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ায় ছোটনের শিষ্যরা। ৪০তম মিনিটে সাবিনা খাতুনের বাড়িয়ে দেয়া বলে কৃষ্ণা রানি সরকারের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।