বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দেশের বাইরে সীমিত সাফল্যের অন্যতম কারণ উইকেট ও কন্ডিশন। দেশের বাইরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বা আইসিসির বৈশ্বিক ইভেন্টে মিরপুর বা চট্টগ্রামের মতো ধীরগতির ও স্পিন সহায়ক উইকেট সবসময় পায় না টাইগাররা। যে কারণে বিদেশ প্রায় সময়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সাকিব-লিটনদের।পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারই ধারাবাহিকতায় এবারে নিউজিল্যান্ড থেকে পিচ ও কন্ডিশন বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসেছে তারা।নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের হেড অফ টার্ফ ম্যানেজমেন্ট ইয়ান জোসেফ ম্যাকেঞ্জি সপ্তাহখানেকের জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলার ভেন্যু ঘুরে উইকেট পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পিচ কিউরেটরদের জন্য কর্মশালাও পরিচালনা করবেন।
মিরপুরে সোমবার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডস ম্যানেজার আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, ‘কাল আমরা যাব চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। সেখান থেকে যাব কক্সবাজার। ২১ তারিখ সেখান থেকে ঢাকায় ফিরবো। ২২ তারিখ সিলেট পরিদর্শনে যাব।‘আমাদের মূলত যে কোর্স ও ওয়ার্কশপ সেটা ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর। সারা বাংলাদেশ থেকে আমাদের কিউরেটর, সহকারী কিউরেটর, গ্রাউন্ডস প্রধান যারা উইকেট এবং আউটফিল্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের নিয়ে ওয়ার্কশপটা হবে।’ম্যাকেঞ্জি মূলত বাংলাদেশের গ্রাউন্ডসম্যানদের কর্মপদ্ধতি দেখবেন ও নিউজিল্যান্ডে পিচ তৈরির পদ্ধতির সঙ্গে তুলনা করে পার্থক্যগুলো তুলে ধরবেন।বিসিবি নিউজিল্যান্ডের উইকেটের আদলে ঘরোয়া ক্রিকেটে সিমিং ও বাউন্সি ট্র্যাক বানাতে চায়। একই সঙ্গে মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠে ছাদ বসানোর পরিকল্পনাও আছে তাদের। এগুলোতেও সহায়তা করবেন ম্যাকেঞ্জি।বাতেন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ইনডোরে ছাদ আছে। যেটা বৃষ্টির সময় থাকে ও অন্য সময় সরে যায়। সেরকম ছাদ তৈরি করা আমাদের পরিকল্পনার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। খুব দ্রুতই আমাদের এখানে এটা ইনস্টল হবে। একটা ক্যানাডিয়ান কোম্পানি নিউজিল্যান্ডে সেটা তৈরি করেছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সহায়তায় এটা আমরা বাংলাদেশে ব্যবস্থা করছি।’