সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে মঙ্গলবার শক্তিশালী ভারতকে হারানোর পরও সতর্ক বাংলাদেশ। আনন্দের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে বড় জয় পাবার পরও বিশ্রামে না গিয়ে বুধবার অনুশীলন করেছে কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা।বুধবারও প্রতিদিনের মতো কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার্স মাঠে অনুশীলনে ঘাম ঝড়িয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এবারে বাংলাদেশের মুল লক্ষ্য শিরোপা জয়। তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই তৃপ্ত নন সাবিনা-স্বপ্নারা। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ বি-গ্রুপের রানার্স আপ ভুটানকেও সমীহের চোখে দেখছে বাংলাদেশ।
অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ভারতকে হারানোর পর উল্লাস যা করার এখানেই করেছি। হোটেলে যাবার পর ডিনার করেছি। অনেকের পায়ে ব্যাথা ছিল। তারা আইস বাথ করেছে আর চিকিৎসা নিয়েছে। সব মিলিয়ে এখন আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনালের জন্য প্রস্তুত হওয়া।তিনি যোগ করেন, ‘যেহেতু আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে খেলা। সেটি পূরণ করতে হলে সেমিফাইনালের বাধা টপকে যেতে হবে। ভুটানও অনেক ভালো দল। কোনো দলকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আগের ম্যাচের ছন্দ ধরে রেখে সেমিফাইনাল খেলতে চাই।’ভারতের বিপক্ষে অন্যতম ভুমিকা রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া কৃষ্ণা রানী সরকার বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে জিতেছি। এতে সবাই খুশি। তবে সামনে দুটি ম্যাচ রয়েছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। এই দুটি জিতে শিরোপা নিয়ে উল্লাস করতে চাই।’তিনি যোগ করেন, ‘শুরুতে সিনিয়র বিভাগে আমাদের ৫/৬টি করে গোল হজম করতে হতো। এখন দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। প্রায় ৬-৭ বছর হয়ে গেছে এক সঙ্গেই আমরা আছি। ২০১৬ সাল থেকে। মেয়েদের ফুটবলে দিনবদলের পালা শুরু হয়েছে। যার প্রমাণ ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটি।’
শুক্রবার ভুটানের বিপক্ষে সাফের সেমিফাইনাল খেলতে নামবে বাংলাদেশ