১৫ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার শেষ তারিখ। বাংলাদেশ দলও আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে দল চূড়ান্ত করে ফেলবে। দলের অধিকাংশ স্থান চূড়ান্ত হয়ে গেলেও কয়েকটি নির্বাচন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে ম্যানেজমেন্টকে।
সেই জায়গাগুলোর একটি হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নির্বাচন। অভিজ্ঞ এ তারকাকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, সেটা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনায় বসবে বিসিবি।
সোমবার থেকে মিরপুরে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়েছে। প্রথম দিন তাতে যোগ দেননি মাহমুদউল্লাহ। তবে সেটি তার থাকা বা না থাকার ইঙ্গিত নয় বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিয়াদ যেহেতু এখন এ ফরম্যাটে খেলে সে আর দশটা খেলোয়াড়ের মতোই। কার অভিজ্ঞতা আছে বা অভিজ্ঞতা নেই, সেটার ভিত্তিতে আমরা আর আলাদা করছি না। রিয়াদ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রাব্বিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবাই জাতীয় দলের খেলোয়াড়।’
রিয়াদ বিশ্বকাপে থাকছেন কি না- সে প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদ বলেন, এখনই চূড়ান্ত রায় দিয়ে দেয়ার সময় আসেনি। অধিনায়ক, কোচ ও নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি যোগ করেন, ‘এত দ্রুত কিছু বলা যাবে না। সাদা বলের ক্রিকেটে রিয়াদ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সে ক্যাম্পেও আছে। তবে তাকে নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। দল গঠনের সময় বিবেচনা করা হবে যে রিয়াদকে আমাদের দরকার আছে কি না। রিয়াদ কেন সুযোগ পাবে বা পাবে না, সেটা নিয়ে আলোচনা হওয়া ভালো।’
৩৬ বছর বয়সী রিয়াদ বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সেটআপের দ্বিতীয় অভিজ্ঞ তারকা। মুশফিকুর রহিম বিদায় নেয়ায় সাকিব আল হাসানের পর দলের সিনিয়র এখন তিনিই। বোর্ড রিয়াদের অভিজ্ঞতার মূল্য দিতে চায়। একই সঙ্গে তারা অভিজ্ঞ এ ব্যাটারের ফর্মহীনতাকেও মাথায় রাখছে।
খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘সারা জীবন কেউ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের সার্ভিসকে আমরা মূল্যায়ন করতে চাই। রিয়াদের এখনও খেলার আগ্রহ ও চেষ্টা আছে। তবে তার কাছ থেকে যেটা আশা ছিল সেটা পাইনি। তার এমন কিছু ইনিংস আছে যেখানে ও একাই বাংলাদেশকে জিতিয়েছে।’