ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেমন দাপট দেখান, দেশের বাইরে খেলতে গিয়ে ঠিক তার বিপরীত চিত্র চোখে পড়ে। প্রতিপক্ষের বোলার ও ব্যাটারদের বিপরীতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না দেশের ক্রিকেটাররা।
উপমহাদেশের বাইরের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সম্প্রতি কংক্রিটের উইকেটে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আবহের সঙ্গে ক্রিকেটারদের খাপ খাইয়ে নিতে ডিউক খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথমবারের মতো ডিউক বলে খেলেছিলেন জাতীয় দলের বোলাররা। সেবার কিছুটা বেগ পেতে হলেও আসন্ন সিরিজগুলোর কথা মাথায় রেখে ঘরোয়া লিগে ডিউক বল দিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এর শুরুটা হবে আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) মধ্য দিয়ে।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নান্নু বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিউক বলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের খাপ খাইয়ে নেয়ার। এসজি ও ডিউকের মধ্যকার পার্থক্য হল কেবলমাত্র সিম আর আকারে। যেহেতু আমাদের সামনে বেশ কিছু সিরিজ রয়েছে, তাই আমরা চাচ্ছি যে ডিউকের সঙ্গে ক্রিকেটারদের পরিচয় করিয়ে দেয়া যাতে তারা প্রস্তুতি নিতে পারে ভালোভাবে।’
১০ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি বছরের আসর। চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত।
এবারের এনসিএলকে সামনে রেখে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ভাবনা রয়েছে বোর্ড কর্মকর্তাদের মাথায়। উইকেটে ঘাস রাখার কথা ভাবা হচ্ছে ৮ মিলিমিটার। একই সঙ্গে ফিটনেস টেস্টে উতরানোর স্কোর বেঁধে দেয়া হয়েছে ১৮.১ পয়েন্ট, যা গেল বছরের আসরে ছিল ১৭.৪। একই সঙ্গে ৮০ ওভার পর দেয়া হবে নতুন বল।
বাড়ছে ম্যাচ ফির পরিমাণও। টায়ার ১-এর চ্যাম্পিয়ন দল পাবে এক লাখ টাকা। এরপর রানার আপ, তৃতীয় ও চতুর্থ দল পাবে যথাক্রমে ৮০ হাজার, ৭০ হাজার ও ৬০ হাজার টাকা করে পাবে।
অপরদিকে টায়ার ২-এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ও ৫৫ হাজার টাকায়। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান পাওয়া দলগুলো পাবে ৫০ হাজার টাকা করে।