বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কংক্রিটের উইকেটে ভাগ্য বদলের আশা

  •    
  • ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:১৮

মূলত বলে বাউন্সার, গতি আনতে স্পোর্টিং উইকেটের আদলে বানানো কংক্রিটের উইকেটে বোলিং করানো হয় বোলারদের। একই সঙ্গে ব্যাটারদের ক্ষেত্রে স্পোর্টিং উইকেট টাইমিং ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

দেশে-বিদেশে ভালো ফলাফলের আশায় ক্রিকেট অনুশীলনে ব্যবহার হচ্ছে বিকল্প ‘স্পোর্টিং উইকেট’। ক্রিকেটারদের কংক্রিটের উইকেটে খেলিয়ে তার মাধ্যমেই বিসিবি বাড়াতে চাইছে সক্ষমতা।

ঘরের মাঠে টাইগাররা পারফরম্যান্সের দিক থেকে নামের প্রতি সুবিচার করলেও বিদেশের মাটিতে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্নরূপ। দেশে ব্যাট-বল হাতে দাপট দেখানো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেন নিজেদেরই হারিয়ে ফেলেন দেশের বাইরে। সাফল্যের দেখা পেলেও সেটি কদাচিৎ। বছরে হয়তো বার দুয়েক। অনেক সময় সেটিও মেলে না।

ঘরের মাঠে সাফল্যের প্রধান কারণ ‘বাজে উইকেট’ বলেই চিহ্নিত করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। স্লো আর লো উইকেটে অনুশীলন ও খেলার কারণেই বিদেশের ‘স্পোর্টিং উইকেটে’ গিয়ে খাবি খেতে হয় টাইগারদের।

উইকেটের মান উন্নয়ন করা বোর্ডের পক্ষে সম্ভব না হলেও বিকল্প খুঁজে বের করেছে বিসিবি। কংক্রিটের উইকেটে ক্রিকেটারদের অনুশীলন করিয়ে কিছুটা হলেও স্পোর্টিং উইকেটের সঙ্গে তাল মেলানোর কৌশল রপ্ত করানো তাদের লক্ষ্য।

মূলত বলে বাউন্সার, গতি আনতে স্পোর্টিং উইকেটের আদলে বানানো কংক্রিটের উইকেটে বোলিং করানো হয় বোলারদের। একই সঙ্গে ব্যাটারদের ক্ষেত্রে স্পোর্টিং উইকেট টাইমিং ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলকে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টিং উইকেটের আবহ দিতে বিশেষ এই পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিবি। হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠে নতুন করে কংক্রিটের উইকেট বসিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।‘স্পোর্টিং উইকেটের স্বাদ দিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে বোর্ড’- এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্সের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস। মঙ্গলবার হোম অফ ক্রিকেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই জানান তিনি।

নাফিস বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে তিনটা কংক্রিট উইকেটের প্রস্তাব ছিল। জাতীয় দলের অনুশীলনে দেখছি, খেলোয়াড়রা মার্বেল স্লেপের ওপর ব্যাটিং করেন। এতে বলের গতি বেশি থাকে এবং ভালো বাউন্সার পাওয়া যায়।

‘আমরা ৫০ শতাংশ ম্যাচ দেশে খেলি, আর ৫০ শতাংশ দেশের বাইরে। বিদেশে আমরা দেখি বেশির ভাগ উইকেটে পেস এবং বাউন্স থাকে। ওই পেস-বাউন্সটা রেপ্লিকেট করার জন্যই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা। এখানে বল স্কিট করবে, বাউন্স করবে। তো আমাদের ব্যাটারদের যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বোলারদেরও ওই ধরনের উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ হবে। গ্রাউন্স বিভাগ দুটি উইকেট বানাচ্ছে।’

ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের উইকেটের আবহ দিতে আরও দুটি অ্যাস্ট্রোটার্ফ উইকেট বসানো হবে বলেও জানান সাবেক এই ক্রিকেটার।নাফিস বলেন, ‘নরমালি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আরব আমিরাতে আমরা দেখেছি উইকেট ফ্লাট থাকে। বল সুন্দরভাবে ব্যাটে আসে, সুতরাং এটা ওটাকে রেপ্লিকেট করবে। পরবর্তীতে দুটি অ্যাস্ট্রোটার্ফ উইকেট করার পরিকল্পনা আছে, যেটা ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে মিল থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর