বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেকের হিসেবে সবচেয়ে সিনিয়র মুশফিকুর রহিম। ২০০৫ সালে টেস্টে অভিষেকের পর থেকে প্রায় দুই দশক আছেন লাল-সবুজ রঙে।
এ দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য লড়াইয়ের সৈনিক মুশফিক ইতি টেনেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের। টেস্ট অভিষেকের প্রায় বছর দেড়েক পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার।
দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৯.৪৮ গড়ে ১,৫০০ রান করেছেন মুশফিক। স্ট্রাইক রেট ১১৫.০৩।
একেবারে মন্দ না হলেও টেস্ট ও ওয়ানডে রেকর্ডের পাশে তার এ পরিসংখ্যানকে কিছুটা ম্লান মনে হতে পারে। স্মরনীয় ইনিংস আছে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটেও। ২০১৮ সালের মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৫ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৭২ রান করেন মুশফিক।সেটা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবেই বিবেচিত। তবে অন্য দুই ফরম্যাটে ধারাবাহিক মুশফিক ২০১৮ সালের পর ছন্দহীন হয়ে পড়েন টি-টোয়েন্টিতে।
গত কয়েক বছর ধরে এই ফরম্যাটে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না মুশফিক। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মুশফিক ২৭ ম্যাচের ২৬ ইনিংসে মাত্র ২টি ফিফটি করেন। ১৪বার আউট হয়েছেন ১ অঙ্কের রানে।
এশিয়া কাপ ছিল তার জন্য লিটমাস টেস্ট। আর তামিম ইকবাল অবসর নেয়ায় বড় টুর্নামেন্টে মুশফিকের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করতে চাইছিল বিসিবি। কিন্তু সেখানে মুশফিকের ব্যাট হাসেনি।এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে যথাক্রমে ১ ও ৪ রান করেন তিনি।
ফলে, মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় বিশ্বকাপের জন্য তিনি আর অটোম্যাটিক চয়েস নন। যার কারণে অনেকটা অবধারিতভাবে শনিবার দেশে ফেরার পরদিন নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলকে ৪ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। তার নেতৃত্বে ২৩ ম্যাচে ৮টি জয়, ১৪টি হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
অধিনায়ক হিসেবে ২৩ টি-টোয়েন্টির ১৯ ইনিংসে ১টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪১৮ রান করেন মুশফিক। আর শুধু ব্যাটার হিসেবে ৭৯ ম্যাচের ৭৪ ইনিংসে ৫টি হাফ সেঞ্চুরিতে ১০৮২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। উইকেটের পেছনে ৮২ ইনিংসে মুশফিকের ডিসমিসাল ৬২টি। এর ৩২টি ক্যাচ ও ৩০টি স্টাম্পিং।