এশিয়া কাপে নিজেদের শুরুটা দাপটের সঙ্গে করেছিল হংকং। ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হারতে হয় অনভিজ্ঞ দলটিকে। দাপুটে বোলিংয়ের পর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় না পেলেও ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভোলেনি তারা।
দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারেনি হংকং। বল হাতে শুরুটা ভালো করলেও সেই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি তারা। ব্যাট হাতে তো পাত্তাই পায়নি বাবর আজমের দলের বিপক্ষে।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজের বোলিং তোপে ৩৮ রানে গুটিয়ে গেছে হংকং।
সে সুবাদে ১৫৫ রানের বড় জয় দিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। দলীয় ১৩ রানে বাবর আজমকে ধরতে হয় সাজঘরের পথ। এহসান খানের শিকার বনে মাঠ ছাড়ার আগে পাকিস্তান দলপতির ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৯ রান।
দ্রুত উইকেট পতনের রেশটা খুব বুঝতে দেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন রান পাহাড়ের চূড়ায়।
৪১ বলে ৫৩ করে ফখর থামলেও খুশদিল শাহকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান রিজওয়ান। পাকিস্তানি এই ওপেনারের ৫৭ বলে ৭৮ রানের ও খুশদিলের ১৫ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ২ উইকেট হারিয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে ১৯৩ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শুরু হয় হংকংয়ের ব্যাটিং ধ্বস। দলীয় ১৬ রানে অধিনায়ক নিজাকাত খানের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে হংকংয়ের ব্যাটিং লাইন আপ।
শেষ পর্যন্ত পাক বোলারদের তোপ সামলে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি তাদের। ৩৮ রানে গুটিয়ে যায় হংকং। একইসঙ্গে বিদায় নিতে হয় এশিয়া কাপের মঞ্চ থেকেও।
পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান ৮ রানে ৪টি আর মোহাম্মদ নাওয়াজ ৫ রানে ৩টি উইকেট নেন। নাসিম শাহ ৭ রানে পান ২ উইকেট।