৬ সেপ্টেম্বর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হচ্ছে ‘সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’। এবারের আসরে অংশগ্রহণ করতে শনিবার নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মেয়েরা।
বড় এ টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশের নারীরা তেমন একটা প্রস্তুতির সুযোগ পায়নি। চেষ্টা করেও প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে দলের হেড কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন তরুণ এ দলকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী।
র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলা প্রীতি ম্যাচের জয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তাই এবারের আসরে বাংলাদেশ এগোতে চায় ম্যাচ-বাই-ম্যাচ খেলে।বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ছোটন জানান, আপাতত নজর মালদ্বীপ ও নেপালের ম্যাচে। জয় চান দুই ম্যাচেই।
তিনি বলেন, ‘সেমিফাইনালে যেতে হলে টুর্নামেন্টের শুরুর দুই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই ম্যাচে আমরা আপাতত মনোযোগ দিচ্ছি। যখন আমরা সেমিতে যাব, সেটা নিয়ে তখন আমরা পরিকল্পনা করব। যদিও আগে থেকেই পরিকল্পনা আছে, সেটা তখন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করব। আপাতত আমরা মালদ্বীপ ও পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কাজ করছি।’
চ্যাম্পিয়নশিপে একবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে তিনবার। যেখানে প্রতি আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। যে কারণে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে ফেভারিট দল হিসেবেও স্থান পাচ্ছে ৫ বারের শিরোপাধারী ভারত।
চলতি বছর টুর্নামেন্টে ভারতের খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ফিফার নিষেধাজ্ঞায়, তবে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে আবারও খেলার সু্যোগ পায় চ্যাম্পিয়নরা।
নারীদের এ টুর্নামেন্টে ভারত থাকার পরও বাংলাদেশ দলের কোচের নজর ফাইনালে।
ছোটন আরও বলেন, ‘আমরা জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে প্রথমে সেমিফাইনাল ও পরে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।’
কোচের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক গোছানো ফুটবল খেলি। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে বুঝতে পারছি আমরা আগের চেয়ে কতটা গোছানো। আমাদের টার্গেট ফাইনাল খেলার।’
প্রথম ম্যাচ ৭ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান। ১০ ও ১৩ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সাফে বাংলাদেশ দল
রুপনা চাকমা, ইতি রানী, সাথী বিশ্বাস, মাসুরা পারভীন, আঁখি খাতুন, শামসুন্নাহার, শিউলি আজীম, নিলুফার ইয়াসমীন নীলা, শামসুন্নাহার, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, আনাই মগিনি, সোহাগী কিসকু, স্বপ্ন রানী, রিতু পর্না চাকমা, সানজিদা আক্তার, মার্জিয়া, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না, তহুরা খাতুন, সাজেদা খাতুন ও অনুচিং মগিনি।