লম্বা সময় ধরে প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশের ঘরের উইকেট। ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করা দল ঘরের বাইরে ট্যুর বা আইসিসি বা এসিসির টুর্নামেন্টে খেই হারিয়ে ফেলে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে নাকানিচুবানি খাইয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে বিশ্বকাপের মঞ্চে পা দেয় বাংলাদেশ। আমিরাতের স্পোর্টিং উইকেটে প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়াতে হিমশিম খেতে হয়েছে টাইগারদের।
সেই থেকে শুরু। বিশ্বকাপের পর মাত্র ৩ টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা মিলেছে বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে দাপুটে দলকে ভেন্যু বদলের সঙ্গে সঙ্গেই খুঁজে পাওয়া যায় না।
বাজে পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা উইকেটকে দোষ দিলেও বোর্ড কর্তাদের মতে উইকেট সম্পূর্ণ নির্দোষ। বিশ্বমানের উইকেটে বাংলাদেশের এমনটাই দাবি জানানো হয় প্রতিবারই বোর্ডের পক্ষ থেকে।
তবে দেরিতে হলেও বাস্তবতা মানতে শুরু করেছে বিসিবি। টি-টোয়েন্টিতে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য এবারে ঘরের মাঠের উইকেটের দিকে আঙুল তুললেন বোর্ড পরিচালক ও বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়।
দুর্জয়ের মতে ঘরের মাঠের উইকেট আর আন্তর্জাতিক ইভেন্টের স্পোর্টিং উইকেটের ভেতর বিস্তর ফারাক থাকায় সেখানে সুবিধা করতে পারে না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
দুর্জয় বলেন, ‘ঘরের মাঠে আমরা যে উইকেটে খেলি আমাদের বোলাররা অভ্যস্ত এবং সহায়তা পায়। আইসিসি-এসিসির আসরে সে সুযোগ থাকে না। এখানে আসলে ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসনটা যে রকম জরুরি, তেমনি পাওয়ার (হিটিং) জরুরি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের আরও আগ্রাসী হতে হবে।’
সাবেক এ অধিনায়কের মতে আফগানিস্তানের পাওয়ার হিটিংয়ের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের। পাওয়ার হিটিংকেই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি।
দুর্জয় বলেন, ‘পাওয়ার প্লেতে যেমন কাজ করতে পারিনি, একইভাবে ম্যাচ হাতের নাগালে আসার পর বোলিংয়ে রান রেট ১০ এর বেশি নিয়ে গেছি। তারপর একটা-দুটা ওভার রান বেশি দিলাম। আমার কাছে মনে হলো যে আমরা পাওয়ার হিটিংয়ের কাছে হেরে গেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মানসিক আগ্রাসন আছে। কিন্তু শারীরিক যে পাওয়া হিটিংয়ের কথা বলি, সেটা না থাকলে টি-টোয়েন্টিতে সংগ্রাম করতে হবে, যে কেউ সংগ্রাম করবে।’