সহজ জয় দিয়ে এশিয়া কাপের পঞ্চাদশ আসরে যাত্রা শুরু করল আফগানিস্তান।
নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টিতে তারা জয় পেয়েছে ৮ উইকেটে।
শ্রীলঙ্কার দেয়া ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটিং তান্ডবে ৫৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিল আফগানিস্তান। দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটিং তোপের মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে লঙ্কান বোলাররা।
জাজাই উইকেটে ধরে খেললেও মারকুটে ব্যাটিং চালিয়ে যান গুরবাজ। দুইজনের অবিচ্ছেদ্য ৮৩ রানের জুটিতে ভর করে বড় জয়ের পথে পা দিয়ে রাখে আফগানিস্তান।
১৮ বলে ৪০ করে ডি সিলভার শিকার হয়ে গুরবাজ বিদায় নিলে বাকি কাজটা সারেন জাজাই ও জাদরান মিলে। শেষ পর্যন্ত ৫৯ বল হাতে রেখেই জয় বাগিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই বিপর্যয় সঙ্গী হয় লঙ্কানদের। প্রথম ওভারেই ফজল হক ফারুকির ব্যাক টু ব্যাক আঘাতে সাজঘরে ফিরতে হয় কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আশালাঙ্কাকে। দুইজনই মাঠ ছাড়েন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে।
ফারুকির আঘাতের রেশ কাটতে না কাটতেই নাভিন উল হকের বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে ধরা দিয়ে ৩ রানে মাঠ ছাড়তেঁ হয় ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে। এতে করে স্কোরবোর্ডে ৫ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা।
দ্রুত ৩ উইকেট পতনের রেশ কাটাতে ব্যাট হাতে আগ্রাসী হন ভানুকা রাজপাকসে। সঙ্গে নেন দানুষ্কা গুনাথিলাকাকে। দুজনে মিলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে সামাল দেন প্রাথমিক বিপর্যয়ের।
দলীয় ৪৯ রানে গুনাথিলাকা বিদায় নিলেও উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন রাজাপাকসে। সঙ্গী হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ও দাসুন শানাকার স্কোর বড় করতে না পারলেও উইকেট কামড়ে বসে মারকুটে ব্যাটিং করতে থাকেন ভানুকা।
কিন্তু দলীয় ৬৯ রানে তাকে মাঠ ছাড়তে হয় রান আউটের শিকার হয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
শেষদিকে চামিকা করুনারাত্নের ৩৮ বলে ৩১ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংসের সুবাদে দলীয় সংগ্রহ শতরান রান করে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সামনে ১০৫ রানের টার্গেট দেয় লঙ্কানরা।