নেপালের কাঠমান্ডুতে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ষষ্ঠ আসর। আসরে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ নারী দল।
টুর্নামেন্টের আগে সাবিনাদের প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য চেষ্টা করেও আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করেও শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে সব শেষ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলা প্রীতি ম্যাচের জয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন।
নিউজবাংলাকে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি ভালোই হচ্ছে। আমাদের মেয়েরা অনুশীলনের মধ্যে আছে। জুনে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি সেখানে মেয়েরা ভালো পারফর্ম করেছে। আর এই মুহূর্তে দলে কোন ইনজুরি নেই। তাই সব মিলিয়ে আমি বলব প্রস্তুতি ভালোই।’
তিনি যোগ করে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী করবে তাদের বেশিরভাগ সিনিয়র খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে টিম গড়েছে। সে তুলনায় আমাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড় তরুণ। অনেকে অনুর্ধ্ব-১৯ খেলেছে। তবে ভালো দিক হলো, মেয়েরা গত তিন চার বছরে বেশ কিছু বয়সভিত্তিক খেলা খেলেছে। যে কারণে তারা প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমারা যে দুটি ম্যাচ খেলেছি সেখানেও আমাদের মেয়েরা জয় পেয়েছে।’
প্রতিযোগীতার ‘এ’গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। দীর্ঘদিন ফিফার নিষেধাজ্ঞায় থাকা পাকিস্তানও এবার অংশগ্রহণ করবে। ফিফার নিষেধাজ্ঞায় আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ছিল দেশটি।
অপরদিকে গ্রুপ ‘বি’তে খেলবে নেপাল, ভূটান ও শ্রীলঙ্কা। ২০১০ থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার আয়োজিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগীতা সাফ। প্রত্যেকবারই চ্যাম্পিয়ন শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে ভারত।
চারবার রানার্স আপ হয়েছে নেপাল। ২০১৬ সালে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়াই করেও ফাইনাল জিততে পারেনি বাংলাদেশ।