টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে এখনও মাস দেড়েক বাকি। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে উন্মাদনা। সাবেকরা শুরু করে দিয়েছেন ভবিষ্যৎবাণী। ব্যাট ও বল হাতে কারা দাপাবেন ২২ গজ, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
আইসিসি রিভিউতে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন বেছে নিয়েছেন আসন্ন বিশ্বকাপে তার চোখে সেরা পাঁচ ক্রিকেটারকে। অজি এই তারকা ক্রিকেটারের তালিকায় ঠাঁই হয়েছে পাকিস্তানের বাবর আজম, ভারতের সূর্যকুমার যাদব, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদির।
ওয়াটসনের প্রথম পছন্দ পাকিস্তানের বাবর আজম। পাকিস্তানি এ ব্যাটারকে নিয়ে তার মন্তব্য, ‘শুরুতেই আমি বেছে নেব বাবর আজমকে। এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটার ও। সে জানে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে খেলতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে বেছে নেয়ার আরেকটি কারণ হলো সে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে বিশ্বের সেরা বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে সে অবশ্যই ভালো করবে।’
ওয়াটসনের দ্বিতীয় পছন্দ ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটার সুরিয়াকুমার ইয়াদভ। সাবেক এই অজি ক্রিকেটার বলেন, ‘দুই নম্বর হচ্ছে সুরিয়াকুমার। সে অবিশ্বাস্য ভালো ব্যাট করে। সে-ই আমার দুই নম্বর পছন্দ।'
পছন্দের তালিকার তিনে ওয়াটসন রেখেছেন স্বদেশি ডেভিড ওয়ার্নারকে। তিনি বলেন, ‘তিন নম্বর ডেভিড ওয়ার্নার। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে টুর্নামেন্টে সেরা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছে। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের জন্য নিঃসন্দেহে সে প্রস্তুত।’
এরপর সাবেক অজি ক্রিকেটার রেখেছেন ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটার জস বাটলারকে।
ওয়াটসনের ভাষ্য, ‘চার নম্বরে আমি জস বাটলারকে রাখব। আইপিএলের একটা লম্বা সময় পর্যন্ত তাকে কেউ আউটই করতে পারছিল না। সেই সঙ্গে রয়েছে তার চারটা সেঞ্চুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ও যখন ছন্দে থাকে, তখন চূড়ায় উঠে যায়। তাকে আউট করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সে যেকোনো বোলারকেও যেকোনো দিকে মারতে পারে। এটা এখনই ধরে নেয়া যায় জস প্রভাব বিস্তার করবে।’
তালিকার পঞ্চম পছন্দের খেলোয়াড় হিসেবে ওয়াটসন রাখছেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। একমাত্র বোলার হিসেবে ওয়াটসনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন পাক এ পেসার।
শাহিন সম্পর্কে ওয়াটসন বলেন, ‘ওর উইকেট নেয়ার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। আমরা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সামর্থ্য দেখেছি। নতুন বলে কীভাবে সে সেরা ব্যাটারদের কাবু করে ফেলে।
‘অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে সে প্রভাব বিস্তার না করলে আমি খুব অবাক হব। কারণ উইকেটে গতি ও বাউন্স থাকবে; সুইং হবে।’