টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসর থেকে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের শর্টার ফরম্যাটে বাংলাদেশ খেলেছে ১৮টি ম্যাচ। এই ১৮ ম্যাচের ভেতর লাল সবুজের প্রতিনিধিদের জয়ের দেখা মিলেছে কেবলমাত্র ৪টি ম্যাচে। বাকি ১৪ টিতেই হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
শুধু টি-টোয়েন্টিতেই নয়, টেস্টেও যে বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, সাম্প্রতিক সময়ে সেটি বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন বোধহয় হবে না কারোরই।
গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেটের উন্নয়নে আটঘাট বেঁধে নামে বিসিবি। কোচিং প্যানেলে আমূল পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন বোর্ড সভাপতি। আসেও পরিবর্তন। পরিবর্তন আনা হয় অধিনায়কত্বেও। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হয়নি কারো পক্ষেই।
তবে বোর্ড হাল ছাড়ার পাত্র নয়। যে কারণে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুন এক পন্থা অবলম্বন করে বিসিবি। শর্টার ভার্শনের জন্য আলাদা করে একজন পরামর্শক নিয়োগ দেয় দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। পাশাপাশি হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে শুধুমাত্র ওয়ানডে ও টেস্টে মনোনিবেশ করার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয় আলাদাভাবে।
ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য ভিন্ন কোচ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে বিষয়টির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া কি ক্রিকেটারদের জন্য সহজ হবে? এতে কি সমস্যা হবে ক্রিকেটের। উত্তরটা জানালেন জাতীও দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। জানালেন ক্রিকেটের উন্নতির জন্য এই পন্থা অবলম্বন করেছে বোর্ড।
সুজনের মতে ডমিঙ্গোর মতাদর্শ টাইগারদের সঙ্গে মানানো যাচ্ছে না বলে নতুন কাউকে বাজিয়ে দেখছে বিসিবি। শনিবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান তিনি।
সুজন বলেন, ‘দেখেন প্রত্যেকটা মানুষেরই ভাবনা ভিন্ন। আমার এবং আপনার ফিলোসফি আলাদা। ঠিক তেমনি কোচেরটাও আলাদা। তবে ওরটা (ডমিঙ্গো) হয়তো আমাদের সঙ্গে ম্যাচ করছে না। এটা তো কথা বলে হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে যে আমরা টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করতে পারছি না। ক্রিকেটের জন্য যদি আলাদা ফিলোসফি আসে তাহলে অসুবিধা কি। সুতরাং দেখা যাক কি হয়।’